প্রোটো ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা বা পাই
ইংরেজি, রাশান, ফ্রেঞ্চ, বাংলাসহ এশিয়া ও ইউরোপ, এমনকি পৃথিবীর বেশিরভাগ ভাষাতেই নিজের খানিকটা করে অংশ রেখে গিয়েছে এই প্রোটো ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা বা পাই। তবে বাস্তবিকভাবে এটি কেমন ছিল তা জানা যায়নি কখনও। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মাত্র তিনটি ধ্বনি পাওয়া গেছে পাইয়ের। তবে এখন অব্দি সে তিনটি ধ্বনিকে উচ্চারণ কী করে করতে হয় সেটা বুঝতে পারেনি কেউ। বিশেষজ্ঞদের মতে এটা এতই বেশি পুরোন ভাষা যে এর কোন লিপি বা কোনোকিছু এখন আর অবশিষ্ট নেই। তবে বর্তমানে পৃথিবীতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে পাইয়েরই উত্তরসূরিরা।
হাট্টিক
ইন্দো-ইউরোপিয়ান হিট্টি ভাষা নয়, এ ভাষাটির নাম হাট্টিক। মূলত, এর কোনো নামই আজ অব্দি আবিষ্কার করতে পারেনি কেউ। হাট্টিয়ানদের এ ভাষাকে তাই হাট্টিক বলেই সম্বোধন করা হয়। হাট্টিক ভাষাকে একসময়ের আনাতোলিয়ার অধিবাসী, অর্থাৎ বর্তমান টার্কির ভাষা বলেই মনে করা হয়। ইন্দো-ইউরোপিয়ানদের হাতে আনাতোলিয়া পরাজিত ও দখলের শিকার হলেই ধীরে ধীরে এই ভাষাটি হারিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে অনেকেই একে জর্জিয়ান, আবখাজ বা ইউবিখ ভাষার সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করেন। তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি। বরং প্রাচীন এ ভাষাটির চিত্রলিপি বেশ ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে মানুষকে।
আইবেরিয়ান
বর্তমান স্পেন ও পর্তুগালের অংশ, তৎকালীন আইবেরিয়ান পেনিনসুলায় বসবাসকৃত মানুষের মৌখিক ও লিখিত ভাষাকেই আইবেরিয়ান ভাষা নামটি দেওয়া হয়েছে। যদিও এ ভাষারও নামটা ঠিকঠাক জানে না কেউ। অনেক সময়েই অনেক ভাষার সঙ্গে জুড়ে দিতে চাওয়া হয়েছে একে। তবে শেষমেশ মানতে বাধ্য হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা যে এটি আসলেই মৃতভাষা। বিশেষ করে রোমান শাসকরা আইবেরিয়ান পেনিনসুলা জয় করে নিলে ভাষাটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে স্পেনে এ ভাষার কিছু অক্ষরের দেখা পাওয়া যায়।
এট্রুস্কান
সর্বশেষ এট্রুস্কান ভাষার সপ্রতিভ কথক ছিলেন সিজার ক্লডিয়াস। তিনি সম্পূর্ণ নিজের আগ্রহ থেকেই লিখে ফেলেন হিস্টোরি অব দ্য এট্রুস্কান। তবে বর্তমানে সেই বইটিও নেই, নেই এট্রুস্কান ভাষাও। মৃতদের খাতায় নিজের নাম লিখিয়ে নেওয়া এট্রুস্কান ভাষা বর্তমানে না থাকলেও এ ভাষাভাষীদের দেওয়া নাম এখনও গায়ে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু শহর। পুরো ইতালিকে কয়েকশ বছর ধরে শাসন করেছিল এট্রুস্কান আর তাদের ভাষা। সেই শাসনামলেই রোম নামটি দেয় তারা বর্তমান রোমকে।
ইংরেজি, রাশান, ফ্রেঞ্চ, বাংলাসহ এশিয়া ও ইউরোপ, এমনকি পৃথিবীর বেশিরভাগ ভাষাতেই নিজের খানিকটা করে অংশ রেখে গিয়েছে এই প্রোটো ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা বা পাই। তবে বাস্তবিকভাবে এটি কেমন ছিল তা জানা যায়নি কখনও। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মাত্র তিনটি ধ্বনি পাওয়া গেছে পাইয়ের। তবে এখন অব্দি সে তিনটি ধ্বনিকে উচ্চারণ কী করে করতে হয় সেটা বুঝতে পারেনি কেউ। বিশেষজ্ঞদের মতে এটা এতই বেশি পুরোন ভাষা যে এর কোন লিপি বা কোনোকিছু এখন আর অবশিষ্ট নেই। তবে বর্তমানে পৃথিবীতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে পাইয়েরই উত্তরসূরিরা।
হাট্টিক
ইন্দো-ইউরোপিয়ান হিট্টি ভাষা নয়, এ ভাষাটির নাম হাট্টিক। মূলত, এর কোনো নামই আজ অব্দি আবিষ্কার করতে পারেনি কেউ। হাট্টিয়ানদের এ ভাষাকে তাই হাট্টিক বলেই সম্বোধন করা হয়। হাট্টিক ভাষাকে একসময়ের আনাতোলিয়ার অধিবাসী, অর্থাৎ বর্তমান টার্কির ভাষা বলেই মনে করা হয়। ইন্দো-ইউরোপিয়ানদের হাতে আনাতোলিয়া পরাজিত ও দখলের শিকার হলেই ধীরে ধীরে এই ভাষাটি হারিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে অনেকেই একে জর্জিয়ান, আবখাজ বা ইউবিখ ভাষার সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করেন। তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি। বরং প্রাচীন এ ভাষাটির চিত্রলিপি বেশ ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে মানুষকে।
আইবেরিয়ান
বর্তমান স্পেন ও পর্তুগালের অংশ, তৎকালীন আইবেরিয়ান পেনিনসুলায় বসবাসকৃত মানুষের মৌখিক ও লিখিত ভাষাকেই আইবেরিয়ান ভাষা নামটি দেওয়া হয়েছে। যদিও এ ভাষারও নামটা ঠিকঠাক জানে না কেউ। অনেক সময়েই অনেক ভাষার সঙ্গে জুড়ে দিতে চাওয়া হয়েছে একে। তবে শেষমেশ মানতে বাধ্য হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা যে এটি আসলেই মৃতভাষা। বিশেষ করে রোমান শাসকরা আইবেরিয়ান পেনিনসুলা জয় করে নিলে ভাষাটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে স্পেনে এ ভাষার কিছু অক্ষরের দেখা পাওয়া যায়।
এট্রুস্কান
সর্বশেষ এট্রুস্কান ভাষার সপ্রতিভ কথক ছিলেন সিজার ক্লডিয়াস। তিনি সম্পূর্ণ নিজের আগ্রহ থেকেই লিখে ফেলেন হিস্টোরি অব দ্য এট্রুস্কান। তবে বর্তমানে সেই বইটিও নেই, নেই এট্রুস্কান ভাষাও। মৃতদের খাতায় নিজের নাম লিখিয়ে নেওয়া এট্রুস্কান ভাষা বর্তমানে না থাকলেও এ ভাষাভাষীদের দেওয়া নাম এখনও গায়ে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু শহর। পুরো ইতালিকে কয়েকশ বছর ধরে শাসন করেছিল এট্রুস্কান আর তাদের ভাষা। সেই শাসনামলেই রোম নামটি দেয় তারা বর্তমান রোমকে।
No comments:
Write comments