২. অবিশ্বাস বা নিরাপদ বোধ না করলে সঙ্গীকে অপ্রয়োজনীয় কোনো চরম শর্ত দেবেন না। যেমন, ধরুন ‘হয় তোমার বন্ধুরা নয়তো আমি’। সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি নিরাপদ বোধ না করা বা অবিশ্বাস এসেই যায়, তবে এ ধরনের শর্তারোপ কোনো সমাধান দেবে না। এটি আপনার উদ্বেগই প্রকাশ করে।
৩.সঙ্গীকে কখনো বলবেন না, ‘তোমার পরিবার আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়’। এ রকম কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনার সঙ্গীর পরিবার তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে তা আপনার কাছেও গুরুত্ব পাওয়া উচিত। কোনো কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে আপনার কোনো ঝামেলা থাকলেও সম্পর্কের খাতিরে সৌজন্য বজায় রাখুন।
৪.‘তুমি সবসময়...’ অথবা ‘তুমি একমাত্র...’ এমন জাতীয় কথা এড়িয়ে চলুন। কেননা এগুলো খুব একটা সত্য নয় এবং সঙ্গীর সঙ্গে এ ধরনের বাক্য বিনিময়, পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তোলে। বরং আপনি আরও সুনির্দিষ্ট করে ‘প্রায়শই’ বা ‘প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই’ ইত্যাদি শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করতে পারেন।
৫.বর্ণনা দিয়ে কোনো কথাবার্তা বললে সঙ্গীর মনে হবে ওই ব্যাপারে আপনি মনস্থির করে ফেলেছেন। তাই ইতিবাচকভাবে আপনার চিন্তাকে প্রকাশ করার জন্য সুনির্দিষ্ট করে প্রশ্ন করা অথবা বিষয়টি নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা উচিত। যেমন ধরুন, আপনি বাইরে থেকে এসে সঙ্গীকে বললেন, তুমি একটু বিহ্বল থাকো তাই আমি জানি না কখন এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা উচিত। এভাবে না বলে বরং আপনি বলুন, কাজ থেকে বা তুমি বাইরে থেকে ফেরার পর একটু ‘বিরক্ত’ থাকো...ফলে আমি উদ্বিগ্ন থাকি কখন আমাদের কথাটি বলা উচিত?
No comments:
Write comments