Adsence Advertise

Pages

Advertise

Copyright @ 2016 tarekurrahman. Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

যে ৫ টি কথা সঙ্গীকে বলতে নেই




.বারবার এমন কিছু বলবেন না যেটা আপনি চান না যে সত্য হোক। শব্দ হলো মস্তিষ্কের জন্য এক ধরনের নির্দেশনা। ফলে, শব্দ একই সঙ্গে আমাদের চিন্তা, সিদ্ধান্ত এবং কাজকে প্রভাবিত করে। যেমন, তারা তাদের সাবেক সঙ্গীর সঙ্গে এখনো প্রেম করছেন—এ রকম কথা আপনার বারবার বলা উচিত হবে না। কেননা এর মাধ্যমে আপনি তাদের মস্তিষ্ককে এটা যে সত্য, তা ভাবতে নির্দেশনা দিচ্ছেন। এর চেয়ে আপনি এমন সব শব্দ ব্যবহার করুন, আপনি যেমন সম্পর্ক চান তার মন সেদিকেই ধাবিত হয়।

২. অবিশ্বাস বা নিরাপদ বোধ না করলে সঙ্গীকে অপ্রয়োজনীয় কোনো চরম শর্ত দেবেন না। যেমন, ধরুন ‘হয় তোমার বন্ধুরা নয়তো আমি’। সম্পর্কের ক্ষেত্রে যদি নিরাপদ বোধ না করা বা অবিশ্বাস এসেই যায়, তবে এ ধরনের শর্তারোপ কোনো সমাধান দেবে না। এটি আপনার উদ্বেগই প্রকাশ করে।

৩.সঙ্গীকে কখনো বলবেন না, ‘তোমার পরিবার আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়’। এ রকম কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনার সঙ্গীর পরিবার তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে তা আপনার কাছেও গুরুত্ব পাওয়া উচিত। কোনো কারণে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে আপনার কোনো ঝামেলা থাকলেও সম্পর্কের খাতিরে সৌজন্য বজায় রাখুন।

৪.‘তুমি সবসময়...’ অথবা ‘তুমি একমাত্র...’ এমন জাতীয় কথা এড়িয়ে চলুন। কেননা এগুলো খুব একটা সত্য নয় এবং সঙ্গীর সঙ্গে এ ধরনের বাক্য বিনিময়, পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তোলে। বরং আপনি আরও সুনির্দিষ্ট করে ‘প্রায়শই’ বা ‘প্রায় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই’ ইত্যাদি শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করতে পারেন।

.বর্ণনা দিয়ে কোনো কথাবার্তা বললে সঙ্গীর মনে হবে ওই ব্যাপারে আপনি মনস্থির করে ফেলেছেন। তাই ইতিবাচকভাবে আপনার চিন্তাকে প্রকাশ করার জন্য সুনির্দিষ্ট করে প্রশ্ন করা অথবা বিষয়টি নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা উচিত। যেমন ধরুন, আপনি বাইরে থেকে এসে সঙ্গীকে বললেন, তুমি একটু বিহ্বল থাকো তাই আমি জানি না কখন এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলা উচিত। এভাবে না বলে বরং আপনি বলুন, কাজ থেকে বা তুমি বাইরে থেকে ফেরার পর একটু ‘বিরক্ত’ থাকো...ফলে আমি উদ্বিগ্ন থাকি কখন আমাদের কথাটি বলা উচিত?


বিসিএস বাংলা ব্যাকরণ -প্রয়োগ অপপ্রয়োগ







১. বহুবচনের দ্বিত্বজনিত ভুল : অনেক সময়েই দেখা যায়, ভাষা ব্যবহারকারী অশুদ্ধভাবে বহুবচনের দ্বিত্ব ব্যবহার করে থাকেন। এ প্রবণতা এত ব্যাপক যে, কোন লেখক এ ত্রুটি থেকে মুক্ত তা খুঁজে বের করাও প্রায় দুরূহ হয়ে ওঠে। 'সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশগুলো', 'সব প্রকাশ মাধ্যমগুলো', 'নিম্নলিখিত সব শিক্ষার্থীগণ', 'সব উপদেষ্টামণ্ডলী', 'কতিপয় সিদ্ধান্তবলি', 'দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলাসমূহে'- এমন ধরনের বহুবচনের দ্বিত্বজনিত অপপ্রয়োগ অহরহ চোখে পড়ে। সামান্য সতর্কতাই এ ত্রুটি থেকে লেখককে মুক্তি দিতে পারে। উপরের দৃষ্টান্তগুলোর শুদ্ধ প্রয়োগ হবে- 'সার্কভুক্ত অন্যান্য দেশ', অথবা 'সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলো', 'প্রকাশ মাধ্যমগুলো' অথবা 'সব প্রকাশ মাধ্যম', 'নিম্নলিখিত সব শিক্ষার্থী' অথবা 'নিম্নলিখিত শিক্ষার্থীগণ', 'সব উপদেষ্টা' অথবা 'উপদেষ্টামণ্ডলী', 'কতিপয় সিদ্ধান্ত', 'দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলায়' অথবা 'দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে' ইত্যাদি। এমন একটি অপপ্রয়োগের উদাহরণ 'কর্তৃপক্ষগণ'। কেননা, কর্তৃপক্ষ শব্দটি বহুবচন বাচক। 'কর্তৃপক্ষ' শব্দের অর্থ শাসকগণ, পরিচালকগণ, নিয়ন্ত্রকগণ ইত্যাদি। অতএব, কর্তৃপক্ষ শব্দের শেষে 'গণ' প্রয়োগ বাহুল্য ও অশুদ্ধ।

২. ইং, তাং, নং, চৌং ইত্যাদি : অধিকাংশ বাঙালি তারিখের পর 'ইং' বলে একটা 'চিহ্ন' লিখে থাকে। তারিখ, নম্বর, চৌধুরী_ এসব শব্দকেও লেখা হয় তাং, নং, চৌং রূপে। এমন দৃষ্টান্তের অভাব নেই। কবে এ প্রবণতার সূত্রপাত তা আমাদের জানা নেই। তবে এসব চলছে দীর্ঘদিন ধরে- শিক্ষিত, শিক্ষার আলোকবঞ্চিত নির্বিশেষে। কিন্তু কেন এমন হলো? তারিখ, নম্বর, চৌধুরীর পরিবর্তে যদি সংক্ষিপ্তরূপে লেখা হতো তা. ন. চৌ. তাহলেও মানা যেত। কিন্তু সংক্ষেপে চিহ্নের পরিবর্তে কেন অনুস্বর (ং) বর্ণ? মনে রাখতে হবে সংক্ষেপে চিহ্ন (.) একটা বিরাম চিহ্ন, পক্ষান্তরে অনুস্বর (ং) হচ্ছে একটা বর্ণ। একটা বর্ণ দিয়ে একটা বিরাম চিহ্নের কাজ চালাতে গিয়েই ঘটেছে দৃষ্টিকটু অপপ্রয়োগ। তারিখ লেখার পর 'ইং' লেখা অনেকটা জাতীয় মুদ্রাদোষে পরিণত হয়েছে। 'ইং' কি ইংরেজির সংক্ষিপ্ত রূপ? এক্ষেত্রে এক ধরনের অপপ্রয়োগ ঘটল- সংক্ষিপ্ত চিহ্নের (.) স্থলে বসানো হলো একটি বর্ণ (ং)। অন্যটি কী? পৃথিবীতে ইংরেজি সাল বলে তো কোনো সাল নেই। তাই 'ইং'-এর প্রশ্নই আসে না। খ্রিস্টীয় সালকে কে ইংরেজি সাল বলে চালিয়ে দিল? প্রথমে যে-ই চালু করুক না কেন, এ ক্ষেত্রে তার 'সাফল্য' বিস্ময়কর। একটা অপপ্রয়োগের ব্যাধিতে গোটা বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীই আক্রান্ত। এমনকি পহেলা জানুয়ারিতে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ঘোষক-ঘোষিকা, সংবাদ-পাঠকের মুখে শোনা যায় 'ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা' জানানোর কথা, পর্দায়ও ভেসে ওঠে অভিন্ন শুভেচ্ছা, জাতীয় দৈনিকের পাতায়ও জানানো হয় একই রকম অপপ্রয়োগজাত শুভেচ্ছা।

৩. প্রেক্ষিত : পরিপ্রেক্ষিত অর্থে বাংলা ভাষায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় 'প্রেক্ষিত' শব্দটি। লেখাই বাহুল্য যে, এটা ভুল প্রয়োগ। 'প্রেক্ষিত' শব্দ এসেছে 'প্রেক্ষণ' থেকে। 'প্রেক্ষণ' বিশেষ্য পদ, যার অর্থ দৃষ্টি। এ থেকে তৈরি হয়েছে বিশেষণ পদ 'প্রেক্ষিত' (উচ্চারণ 'প্রেকখিতো') যার অর্থ দর্শিত বা যা দেখা হয়েছে। অর্থাৎ 'প্রেক্ষিত' শব্দের সঙ্গে দৃষ্টি/দেখা/দর্শিত এসব অর্থ জড়িত আছে। কিন্তু এই অর্থকে পাল্টে দিয়ে অধিকাংশ লেখক 'প্রেক্ষিত' শব্দ ব্যবহার করেন পটভূমি/পরিপ্রেক্ষিত/ Perspective/background অর্থে। এই ব্যবহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচ. ডি পর্যায়ের অভিসন্দর্ভের শিরোনামাতেও কখনো কখনো লক্ষ করা যায়। এ বিষয়ে সকলের সতর্কতা জরুরি।

৪. জন্মজয়ন্তী : 'জন্মজয়ন্তী' শব্দের ব্যবহারও এত বেশি যে একটি অপপ্রয়োগই শুদ্ধ প্রয়োগ বলে মনে হতে পারে। 'জয়ন্তী' শব্দের মাঝেই আছে জন্ম-প্রসঙ্গ; কাজেই জয়ন্তীর পূর্বে 'জন্ম' শব্দের প্রয়োজন পড়ে না। 'জয়ন্তী' শব্দের অর্থ জন্মোৎসব, কোনো ব্যক্তির জন্মতিথি উপলক্ষে উৎসব। গ্রাম থেকে শহরে আসা শিক্ষার আলোকবঞ্চিত কোনো কৃষক যদি হাসপাতালে তার আত্দীয়কে দেখে এসে বলেন, 'হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আসার সময় রোগীকে ফলফ্রুট দিয়ে এলাম'- এক্ষেত্রে 'ফলফ্রুটে'র ক্ষেত্রে যেমন অপপ্রয়োগ ঘটে, তেমনি অপপ্রয়োগ হয় 'জন্মজয়ন্তী'র ক্ষেত্রেও। অতএব, রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জন্মজয়ন্তী না বলে বলা উচিত 'রবীন্দ্রনাথের সার্ধশত জয়ন্তী'।

৫. অত্র-তত্র-যত্র : 'অত্র' শব্দের অর্থ এখানে, 'তত্র' সেখানে, 'যত্র' যেখানে, 'যত্র-তত্র' যেখানে-সেখানে। 'অত্র' কখনোই 'এই' অর্থে ব্যবহার শুদ্ধ প্রয়োগ হতে পারে না। কিন্তু 'অত্র অফিস', 'অত্র বিশ্ববিদ্যালয়', 'অত্র স্থান'- এমন ব্যবহার প্রায়শই চোখে পড়ে। শুদ্ধ প্রয়োগ হবে- এই অফিস, এই বিশ্ববিদ্যালয়, এই স্থান প্রভৃতি। কাজেই 'এই' অর্থে 'অত্র' যত্রতত্র যাতে ব্যবহার না করা হয়, সেদিকে ভাষা-ব্যবহারকারীকে সতর্ক থাকতে হবে।


চর্যাপদের A to Z

চর্যাপদের কবি বা সিদ্ধাচার্য চর্যাপদ রচনা করেছিলেন। সাধারণত বজ্রযানী ও সহজযানী আচার্যগণই সিদ্ধাচার্যনামে অভিহিত হতেন। তিব্বতি ও ভারতীয় কিংবদন্তীতে এঁরাই ‘চৌরাশি সিদ্ধা’ নামে পরিচিত। তবে এই ৮৪ জন সিদ্ধাচার্য আসলে কারা ছিলেন তা সঠিক জানা যায় না।

চর্যার কবিরা ছিলেন পূর্ব ভারত ও নেপাল রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলের অধিবাসী। কেউ পূর্ববঙ্গ, কেউ উত্তরবঙ্গ, কেউ বা রাঢ়ের অধিবাসী ছিলেন। কেউ কেউ বিহার, কেউ ওড়িশা, কেউ বা আবার অসম বা কামরূপের বাসিন্দাও ছিলেন। এঁরা ব্রাহ্মণ, কায়স্থ, ক্ষত্রিয়, বণিক এমনকি অন্ত্যজ শ্রেণী থেকেও এসেছিলেন। কেউ কেউ রাজবংশজাতও ছিলেন। এঁরা পূর্বাশ্রমের পিতৃপ্রদত্ত নাম ত্যাগ করেছিলেন বলে নাম দেখে এঁদের জাতি স্থির করা যায় না। এঁরা হিন্দুধর্মের সনাতন শাস্ত্রবিধান মানতেন না বলে এঁদের বেদবিরোধী ও নাস্তিক আখ্যা দেওয়া হয়। সাধনার নামে গোপনে কেউ কেউ যৌনাচারও করতেন বলে আধুনিক গবেষকগণ মত প্রকাশ করেন।

আবিষ্কৃত পুঁথিটিতে ৫০টি চর্যায় মোট ২৪ জন সিদ্ধাচার্যের নাম পাওয়া যায়। এঁরা হলেন: লুই, কুক্কুরী, বিরুআ,গুণ্ডরী, চাটিল, ভুসুকু, কাহ্ন, কাম্বলাম্বর, ডোম্বী, শান্তি, মহিত্তা, বীণা, সরহ, শবর, আজদেব, ঢেণ্ঢণ, দারিক, ভাদে, তাড়ক, কঙ্কণ, জঅনন্দি, ধাম, তান্তী পা, লাড়ীডোম্বী। এঁদের মধ্যে লাড়ীডোম্বীর পদটি পাওয়া যায়নি। ২৪, ২৫ ও ৪৮ সংখ্যক পদগুলি হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কৃত পুঁথিতে না থাকলেও ডক্টর প্রবোধচন্দ্র বাগচী আবিষ্কৃত তিব্বতি অনুবাদে এগুলির রচয়িতার নাম উল্লিখিত হয়েছে যথাক্রমে কাহ্ন, তান্তী পা ও কুক্কুরী। এই নামগুলির অধিকাংশই তাঁদের ছদ্মনাম এবং ভনিতার শেষে তাঁরা নামের সঙ্গে ‘পা’ (<পদ) শব্দটি সম্ভ্রমবাচক অর্থে ব্যবহার করতেন।

সাধারণভাবে লুইপাদকেই আদি সিদ্ধাচার্য মনে করা হয়। তাঞ্জর বর্ণনা অনুযায়ী তিনি ছিলেন বাঙালি। তিনি মগধের বাসিন্দা ছিলেন ও রাঢ় ও ময়ূরভঞ্জে আজও তাঁর নাম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। চর্যার টীকায় তাঁর অন্য নাম লূয়ীপাদ বা লূয়ীচরণ। ১ ও ২৯ সংখ্যক পদদুটি তাঁর রচিত।

চর্যার পুঁথিতে সর্বাধিক সংখ্যক পদের রচয়িতা কাহ্ন বা কাহ্নপাদ। তিনি কৃষ্ণাচার্য, কৃষ্ণপাদ ও কৃষ্ণবজ্র নামেও পরিচিত। পুঁথিতে তাঁর মোট ১১টি পদ (পদ- ৭, ৯, ১১, ১২, ১৮, ১৯, ২৪, ৩৬, ৪০, ৪২ ও ৪৫) পাওয়া যায়।ইনি ওড়িশার এক ব্রাহ্মণ বংশে জন্মগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। শৌরসেনী অপভ্রংশ ও মাগধী অপভ্রংশজাত বাংলায় তিনি পদ রচনা করতেন। ভুসুকুপাদ বাঙালি ছিলেন বলে অনেকের অনুমান। কেউ কেউ তাঁকে চর্যাগানের শান্তিপাদের সঙ্গে অভিন্ন মনে করেন। চর্যার পুঁথিতে তাঁর আটটি পদ (পদ- ৬, ২১, ২৩, ২৭, ৩০, ৪১, ৪৩, ৪৯) আছে। এছাড়া সরহপাদ চারটি (পদ- ২২, ৩২, ৩৮, ৩৯), কুক্কুরীপাদ তিনটি(পদ- ২, ২০, ৪৮) এবং শান্তিপাদ (পদ- ১৫ ও ২৬) ও শবরপাদ দুইটি পদ (পদ- ২৮ ও ৫০) রচনা করেন। একটি করে পদ রচনা করেন বিরুআ (পদ ৩), গুণ্ডরী (পদ ৪), চাটিল (পদ ৫), কম্বলাম্বরপাদ (পদ ৮), ডোম্বীপাদ (পদ ১৪), মহিণ্ডা (পদ ১৬), বীণাপাদ (পদ ১৭), আজদেব (পদ ৩১), ঢেণ্ঢণ (পদ ৩৩), দারিক (পদ ৩৪), ভদ্রপাদ (পদ ৩৫), তাড়ক (পদ ৩৭), কঙ্কণ (পদ ৪৪), জঅনন্দি (পদ ৪৬), ধাম (পদ ৪৭) ও তান্তী পা (পদ ২৫, মূল বিলুপ্ত)। নাড়ীডোম্বীপাদের পদটি পাওয়া যায় না।

কঙ্কণ পা
চর্যাপদ গ্রন্থে কঙ্কণ পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। কঙ্কণ কম্বলাম্বরের বংশজ। তিনি প্রথম জীবনে বিষ্ণুনগরের রাজা ছিলেন। তাঁর জীবৎকাল নয় শতকের শেষভাগ। তিনি দারিক পার শিষ্য ছিলেন বলে অনুমান করা হয়।
আর্যদেব পা
চর্যাপদ গ্রন্থে আর্যদেব পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। আর্যদেব পা কম্বলাম্বরের সমকালীন। তারানাথের মতে তিনি ছিলেন মেবারের রাজা এবং গোরক্ষনাথের শিষ্য। তাঁর পদের ভাষা উড়িয়া। তিনি আট শতকের প্রথম পাদের লোক বলে অনুমিত।
গুণ্ডরী পা
চর্যাপদ গ্রন্থে গুণ্ডরী পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। গুণ্ডরী পা দেবপালের রাজত্বকালে (৮০৬-৮৪৯) বর্তমান ছিলেন। তাঁর জীবৎকালের নিম্নসীমা ৮৪০। তাঁর জন্মস্থান ডীশুনগর। তিনি বর্ণে লোহার বা কর্মকার এবং সিদ্ধা। তিনি সরহ পার প্রশিষ্যের প্রশিষ্য।
জয়নন্দী পা
চর্যাপদ গ্রন্থে জয়নন্দী পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। জয়নন্দী বাংলাদেশের এক রাজার মন্ত্রী ছিলেন। তিনি বর্ণে ব্রাহ্মণ। তাঁর পদের ভাষা আধুনিক ভারতীয় আর্যভাষার প্রাচীন রূপ তথা প্রত্ন-মৈথিলি-উড়িয়া-বাংলা-আসামী।
ঢেণ্ঢণ পা
চর্যাপদে ঢেণ্ঢণ পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। ঢেণ্ঢণ পার জন্মস্থান অবন্তিনগর-উজ্জয়িনী। তিনি ছিলেন বর্ণে তাঁতি এবং সিদ্ধা। তিনি দেব পাল-বিগ্রহ পালের সময়ে বর্তমান ছিলেন। তাঁর জীবৎকালের উর্ধ্বসীমা ৮৪৫ খ্রিস্টাব্দ।
ধর্ম পা
চর্যাপদে ধর্ম পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। ধাম বা ধর্ম পা কাহ্ন পার শষ্য ছিলেন। তাঁর জন্ম বিক্রমপুরের ব্রাহ্মণ বংশে। তাঁর পদের ভাষা বাংলা। রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতে, তিনি বিগ্রহ পাল-নারায়ণ পালের রাজত্বকালে জীবিত ছিলেন। তাঁর জীবৎকালের নিম্ন সীমা ৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ। তিনি ভিক্ষু ও সিদ্ধা ছিলেন।
বীণা পা
চর্যাপদে গ্রন্থে বীণা পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। বীণা পার জন্মস্থান গহুর। তিনি ছিলেন ক্ষত্রিয় এবং তাঁর গুরুর নাম ছিল বুদ্ধ পাদ। তিনি নয় শতকের লোক। তাঁর চর্যাপদের ভাষা বাংলা।
ভাদ্র পা
চর্যাপদে ভাদ্র পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্‌র মতে, ভাদ্র পাদ বা ভাদে পা কাহ্ন পার শিষ্য। তাঁর জন্মস্থান মহিভদ্র। তাঁর পদের ভাষা বাংলা। রাহুল সাংকৃত্যায়নের মতে, ভাদে পার আবির্ভাবকাল বিগ্রহ পাল-নারায়ণ পালের রাজত্বকাল। তাঁর জীবৎকালের নিম্ন সীমা ৮৭৫ খ্রিস্টাব্দ। তাঁর জন্মস্থান শাবন্তী, পেশায় চিত্রকর এবং সিদ্ধা।
শান্তি পা
চর্যাপদে শান্তি পার একটি পদ গৃহীত হয়েছে। শান্তি পা বিক্রমশিলা বিহারের দ্বারপন্ডিত ছিলেন। দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান অতীশ তাঁর শিষ্য। এগার শতকের প্রথমে তিনি জীবিত ছিলেন। তাঁর চর্যাপদের ভাষা প্রাচীন মৈথিলি। শান্তি পা রত্নাকর শান্তির সংক্ষিপ্ত নাম।
সরহ পা
চর্যাপদে সরহ পার চারটি পদ গৃহীত হয়েছে। সরহ পা ছিলেন ব্রাহ্মণ তাঁর জন্মস্থান রাজ্ঞীদেশ সম্ভবত উত্তরবঙ্গ-কামরূপ। কামরূপের রাজা রত্নপাল (১০০০-১০৩০ সাল) ছিলেন তাঁর শিষ্য। তিনি এগার শতকের প্রথমার্ধে জীবিত ছিলেন। তিনি অপভ্রংশ ভাষায় দোহকোষ রচনা করেছিলেন। তাঁর পদবলীর ভাষা বঙ্গ-কামরূপী। তিনি ছিলেন ভিক্ষু ও সিদ্ধা।

একাত্তর নিয়ে কিছু গ্রন্থ ও লেখকের নাম



একাত্তরের দিনগুলিঃ জাহানারা ইমাম
একাত্তরের ডায়েরিঃ সুফিয়া কামাল
একাত্তেরর কথামালাঃ বেগম নূরজাহান
একাত্তরের নিশানঃ রাবেয়া খাতুন
একাত্তরের বর্ণমালাঃ এম অার অাখতার মুকুল
একাত্তরের বিজয়গাঁথাঃ মেজর রফিকুল ইসলাম
একাত্তরের রণাঙ্গনঃ শামসুল হুদা চৌধুরী
একাত্তরের যীশুঃ শাহরিয়ার কবির।

যে ৫টি অভ্যাস প্রিয়মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে

ঝগড়া চালিয়ে যাওয়া: অতীতের ভুল বা ঝগড়ার বিষয় গোলাবারুদের মতো ব্যবহার করা এবং সেগুলো মনের মধ্যে পুষে রাখা নানান কারণে ক্ষতিকর। চালিয়ে যাওয়া ঝগড়াগুলো শুধু তিক্ততায় সৃষ্টি করে না, এগুলো আপনার বর্তমান কাজের অগ্রগতিতেও বাধা দেয়।




সম্পর্ককে জিম্মি করা: সামান্য সমস্যা বা ঠুকাঠুকিতেই ছেড়ে চলে যাওয়ার ভয় দেখানো বা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল



সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব লাভজনক কাজ নয়। অহেতুক নাটক তৈরি করা হলে বরং সত্যিকার আবেগ নষ্ট করে দেয়। এর ফলে দূরত্ব বেড়ে যায় এবং সম্পর্কটা আসলেই ভেঙে যায়।

পরোক্ষ আক্রমণ করা: মূল সমস্যা যেটা ঝগড়া বা মন মালিন্যের কারণ তা ঠিকভাবে তুলে না ধরে অন্য বিষয় নিয়ে খোঁচা দেওয়া সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আরেকটি কারণ। এতে অপরপক্ষ সমস্যা বুঝতে পারে না ফলে তিক্ততা অন্য দিকে মোড় নেয়। এসব না করে দুইজন মুখোমুখি বসে সমস্যা আলোচনা করে সমাধান করলে সম্পর্ক তিক্ততায় গড়ায় না।

সমাধান ‘কিনে আনা’:
সমস্যা মেটানোর জন্য তার গোঁড়ায় না গিয়ে একটা পার্থিব বস্তু উপহার দিয়ে অপর পক্ষকে খুশি রাখার চেষ্টা আসলে একটি ভুল সিদ্ধান্ত। এতে ঝগড়ার মাধ্যমেই সব দাবী মেটানো যাবে এমন একটি ধারণা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। এভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করার সম্ভাবনা কমতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন এভাবে সমাধান কিনে আনলে এক সময় একপক্ষ একটি টাকার যন্ত্রে পরিণত হবে যেখানে অপরপক্ষ সব সময়ই ভাববে যে তার সমস্যাটা কেউ শুনছে পর্যন্ত না।

সন্দেহ: যখন একজন সঙ্গী অপরজনকে সারাক্ষণ 'কোথায় ছিলে', 'কার সঙ্গে ছিলে' ধরনের জেরা প্রতিনিয়ত করতেই থাকে তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না সম্পর্কের মাঝে সন্দেহ বসবাস করছে। একটা সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য সন্দেহ খুব সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সুন্দর সম্পর্ক চাইলে আপনার সঙ্গীকে বিশ্বাস করতে শিখুন।

প্রশ্ন উওরে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস



প্রশ্ন: আধুনিক বাংলা ভাষার পরিধি কত সাল থেকে শুরু হয়েছে ?
উঃ ১৮০১ সাল থেকে। (প্রস্তুতিপর্বঃ ১৮০০-১৮৬০, বিকাশপর্বঃ ১৮৬০-১৯০০, রবীন্দ্রপর্বঃ ১৯০০-১৯৩০, রবীন্দ্রোত্তরঃ ১৯৩০-১৯৪৭ ও বাংলাদেশঃ ১৯৪৭-)
প্রশ্ন: বাংলা ভাষার উৎপত্তি কোন শতাব্দীতে?
উঃ সপ্তম শতাব্দী।
প্রশ্ন: পানিনি রচিত গ্রন্থের নাম কি?
উঃ ব্যাকরণ অষ্টাধয়ী।
প্রশ্ন: পানিণি কোন ভাষার ব্যাকরণকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন?
উঃ সংস্কৃত ভাষা।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষার মূল উৎস কোনটি?
উঃ বৈদিক।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যিক নিদর্শন কি?
উঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষা কোন আদি বা মূল ভাষা গোষ্ঠীর অর্ন্তগত?
উঃ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠী।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষার উদ্ভব ঘটে কোন দশকে?
উঃ খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে।
প্রশ্ন: ভারতীয় আর্য ভাষার প্রাচীন রূপ কোথায় পাওয়া যায়?
উঃ প্রাচীন গ্রন্থ ঋগে¦দের মন্ত্রগুলোতে।
প্রশ্ন: বাংলা গদ্যের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় কখন থেকে?
উঃ আধুনিক যুগে।
প্রশ্ন: বাংলা গদ্যের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় কখন থেকে?
উঃ আধুনিক যুগে।
প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে খ্রীষ্টপূর্ব কত পর্যন্ত বাংলা ভাষার অস্তিত্ব ছিল?
উঃ পাঁচ হাজার বছর।
প্রশ্ন: আর্য ভারতীয় গোষ্ঠীর প্রাচীনতম সাহিত্যেক ভাষার নাম কি?
উঃ বৈদিক ও সংস্কৃত ভাষা।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষার মূল উৎস কোন ভাষা?
উঃ বৈদিক ভাষা।
প্রশ্ন: বৈদিক ভাষা থেকে বাংলা ভাষা পর্যন্ত বিবর্তনের প্রধান তিনটি ধারা কি কি?
উঃ প্রচীন ভারতীয় আর্য, মধ্য ভারতীয় আর্য ও নব্য ভারতীয় আর্য।
প্রশ্ন: কোন ভাষা বৈদিক ভাষা নামে স্বীকৃত?
উঃ আর্যগণ যে ভাষায় বেদ-সংহিতা রচনা করেছেন।
প্রশ্ন: কোন ব্যাকরণবিদের কাছে সংস্কৃত ভাষা চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়?
উঃ ব্যাকরণবিদ পানিনির হাতে।
প্রশ্ন: সংস্কৃত ভাষা কত অব্দে চূড়ান্তভাবে বিধিবদ্ধ হয়?
উঃ খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০ দিকে।
প্রশ্ন: কোন ভাষাকে প্রাকৃত ভাষা বলে?
উঃ খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ খ্রীঃ দিকে বৈদিক ভাষা বির্বতনকালীণ সময়ে জনসাধারন যে ভাষায় নিত্য নতুন কথা বলত।
প্রশ্ন: প্রাকৃত ভাষা বিবর্তিত হয়ে শেষ যে স্তরে উপনীত হয় তার নাম কি?
উঃ অপভ্রংশ।
প্রশ্ন: সুনীত কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে বাংলা ভাষার উদ্ভর কোন অপভ্রংশ থেকে কোন সময় কালে?
উঃ পূর্ব ভারতে প্রচলিত মাগবী অপভ্রংশ এবং খ্রিষ্টিয় দশম শতকের কাছাকাছি সময়ে বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়।
প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে বাংলা ভাষার উৎস কোন অপভ্রংশ থেকে?
উঃ গৌড় অপভ্রংশ থেকে।
প্রশ্ন: কোন ভাষা থেকে বাংলা ভাষার উৎপত্তি?
উঃ মাগধী প্রাকৃত।
প্রশ্ন: প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার স্তর কয়টি?
উঃ তিনটি।
প্রশ্ন: বৈদিক ভাষা হতে বাংলা ভাষায় বিবর্তনের প্রধান ধারা কয়টি?
উঃ তিনটি।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষা কোন গোষ্ঠীর বংশধর?
উঃ হিন্দ-ইউরোপী গোষ্ঠীর।
প্রশ্ন: কোন যুগে বাংলা লিপির গঠনকার্য স্থায়ীরূপ লাভ করে?
উঃ প্রাচীন যুগে।
প্রশ্ন: বাংলার প্রথম মুদ্রন প্রতিষ্ঠানের নাম কি ?
উঃ শ্রীরামপুর মিশন।
প্রশ্ন: কত সালে ‘শ্রীরামপুর মিশন’ প্রতিষ্ঠিত হয় ?
উঃ ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।
প্রশ্ন: বাংলা ছাড়া ব্রাহ্মী লিপি থেকে আর কোন লিপির উদ্ভদ ঘটেছে ?
উঃ সিংহলী, শ্যামী, নবদ্বীপি, তিব্বতী ইত্যাদি।
প্রশ্ন: বাংলা অক্ষর বা বর্ণমালা কোন সময়ে একচ্ছত্র প্রভাব বিস্তার লাভ করে ?
উঃ খ্রিঃ দশম ও একাদশ শতাব্দীর মধ্যে।
প্রশ্ন: ব্রাহ্মী লিপির বিবর্তনের ধারায় কোন বর্নমালা থেকে বাংলা বর্নমালার উৎপত্তি ?
উঃ পূর্ব ভারতীয় বর্ণমালা কুটিল থেকে।
প্রশ্ন: ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী লিপি কোনটি?
উঃ খরোষ্ঠী লিপি।
প্রশ্ন: ভারতীয় লিপিশালার প্রাচীনতম রূপ কোনটি?
উঃ দুইটি।
প্রশ্ন: খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকে কোন শাসকের শাসনমালা ব্রাহ্মী লিপিতে উৎকীর্ন পাওয়া যায়?
উঃ সম্রাট অশোক।
প্রশ্ন: বাংলা লিপি ও বর্ণমালার উদ্ভব হয়েছে কোন লিপি থেকে?
উঃ কুটিল লিপি।
প্রশ্ন: ব্রাহ্মী লিপির পূর্ববর্তী লিপি কোনটি ?
উঃ খরোষ্ঠী লিপি।
প্রশ্ন: কোন যুগে বাংলা লিপি ও অক্ষরের গঠনকার্য শুরু হয় ?
উঃ সেন যুগে।
প্রশ্ন: কোন কোন লিপির উপর বাংলা লিপির প্রভাব বিদ্যমান ?
উঃ উড়িষ্যা মৈথিলি ও আসামী লিপির উপর।
প্রশ্ন: বাংলা গদ্যের বিকাশে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে-?
উঃ সাময়ীক পত্র।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন কি?
উঃ চর্যাপদ।
প্রশ্ন: চর্যাপদ রচনা করেন কারা ?
উঃ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।
প্রশ্ন: চর্যাপদ কোন যুগের নিদর্শন?
উঃ আদি/ প্রাচীন যুগ।
প্রশ্ন: চর্যাপদের পুঁথিকে কোথা কে এবং কখন আবিস্কার করেন?
উঃ মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭।
প্রশ্ন: চর্যাপদের রচনা কাল কত?
উঃ সপ্তম -দ্বাদশ শতাব্দী।
প্রশ্ন: চর্যাপদ কোন ভাষায় রচিত হয়?
উঃ বঙ্গকামরুপী ভাষায়।
প্রশ্ন: চর্যাপদ কোথায় পাওয়া যায়?
উঃ নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগারে।
প্রশ্ন: টীকাকার মুনিদত্তের মতানুসারে চর্যাপদের নাম কি ?
উঃ আশ্চর্য চর্যাচয়।
প্রশ্ন: নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে পদগুলির কি নাম দেযা হয়েছে ?
উঃ চর্যাচর্য বিনিশ্চয়।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষার সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায় কোন ভাষার?
উঃ মুন্ডা ভাষার।
প্রশ্ন: কোন লিপি থেকে বাংলা লিপির উদ্ভব ঘটেছে?
উঃ ব্রহ্মী লিপি।
প্রশ্ন: ভারতীয় লিপিমালার প্রাচীনতম রূপ কয়টি ও কি কি?
উঃ দুইটি ক. খরোষ্ঠী, খ. বাহ্মী।
প্রশ্ন: ভারতের মৌলিক লিপি কোন লিপিকে বলা বলে?
উঃ ব্রাহ্মী লিপি।
প্রশ্ন: চর্যাপদের ভাষাকে কে বাংলা ভাষা দাবি করেছেন?
উঃ অধ্যাপক সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয়।
প্রশ্ন: আধুনিকের পন্ডিতগণের মতে, নেপালে প্রাপ্ত চর্যাপদের পুঁথির নাম কি ?
উঃ চর্যাগীতি কোষ।
প্রশ্ন: চর্যার প্রাপ্ত কোন সংখ্যক পদটি টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যা হয় নি ?
উঃ ১১ সংখ্যক পদ।
প্রশ্ন: চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে কোন কোন সংখ্যক পদে সম্পূর্ন পাওয়া যায় নি ?
উঃ ২৪, ২৫, ৪৮ সংখ্যক পদ।
প্রশ্ন: চর্যার প্রাপ্ত কোন পদটির শেষাংশে পাওয়া যায় নি ?
উঃ ২৩ সংখ্যক পদ।
প্রশ্ন: চর্যাগীতিকা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক কবে প্রকাশিত হয়েছিল ?
উঃ ১৯১৬ সালে।
প্রশ্ন: চর্যা সংগ্রহটিতে সর্বসমেত কয়টি চর্যাগীতি ছিল?
উঃ ৫১ টি।
প্রশ্ন: চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ কে আবিস্কার করেন?
উঃ ডঃ প্রবোধচন্দ্র বাগচী।
প্রশ্ন: চর্যাপদের ভাষায় কোন অঞ্চলের নমুনা পরিলক্ষিত হয়?
উঃ পশ্চিম বাংলার প্রাচীনতম কথ্য ভাষার।
প্রশ্ন: ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যয় কবে চর্যাপদে ভাষা বাংলা বলে প্রমান করেন?
উঃ ১৯২৬ সালে।
প্রশ্ন: চর্যাপদের প্রতিপাদ্য বিষয় কি?
উঃ চর্যাপদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় বৌদ্ধ সহজিয়া সিদ্ধাদের গুহ্য সাধনতত্ত্ব এবং তৎকালীন সমাজ ও জীবনের পরিচয়।
প্রশ্ন: চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত ?
উঃ মাত্রাবৃত্তে ছন্দে।
প্রশ্ন: চর্যাপদের পুঁথি নেপালে যাবার কারন কি?
উঃ তুর্কী আক্রমনকারীদের ভয়ে পন্ডিতগণ তাদের পুুথি নিয়ে নেপালে পালিয়ে গিয়ে শরনার্থী হয়েছিলেন।
প্রশ্ন: কীর্তিলতা পুরুষ পরীক্ষা বিভাগসার প্রভৃতি সাহিত্যকর্মের রচয়িতা কে?
উঃ মিথিলার কবি বিদ্যাপতি।
প্রশ্ন: কবীন্দ্রবচন সমুচ্চয় ও সদুক্তি কর্ণামৃত কাব্য কোন যুগে রচিত?
উঃ সেনযুগে।
প্রশ্ন: সর্বসমেত কয়টি চর্যাগীতি পাওয়া গিয়েছে?
উঃ সাড়ে ছেচল্লিশটি।
প্রশ্ন: সবচেয়ে বেশী পদ কে রচনা করেছেন ?
উঃ কাহ্নপা-১৩ টি।
প্রশ্ন: চর্যাপদের রচয়িতা কে বা কারা ?
উঃ কাহ্নপা, লুইপা, কুক্কুরীপা, ভুসুকু, সরহপাদ সহ মোট ২৪ জন।
প্রশ্ন: চর্যাপদ কোন সময়ে রচিত হয় ?
উঃ সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে।
প্রশ্ন: চর্যাপদের পদগুলো কোন কোন ভাষায় রচিত বলে দাবি করা হয়?
উঃ বাংলা, হিন্দী, মৈথিলী, অসমীয় ও উড়িয়া ভাষায়।
প্রশ্ন: রাজা লক্ষন সেনের রাজসভার পঞ্চরত কে কে ছিলেন?
উঃ উমাপতিধর, শরণ, ধোয়ী, গোবর্ধন আচার্য ও জয়দেব।
প্রশ্ন: বাংলা ছাড়া কোন কোন বাব্যগ্রন্থে বাঙালী জীবনের চিত্র রয়েছে?
উঃ গাথা সপ্তপদী ও প্রাকৃত পৈঙ্গলের।
প্রশ্ন: চন্ডীদাস সমস্যা কি?
উঃ বাংলা সাহিত্য একাধিক পদকর্তা নিজেকে চন্ডীদাস পরিচয় দিয়ে যে স মস্যা সৃষ্টি করেছেন তাই চন্ডীদাস সমস্যা ।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে স্বীকৃত চন্ডীদাস কয়জন?
উঃ তিনজন। বড়ু চন্ডিদাস, দীন চন্ডিদাস এবং দ্বীজ চন্ডিদাস।
প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়?
উঃ পশ্চিম বঙ্গের বাকুড়া জেলার কাকিলা গ্রামের এক গৃহস্থ বাড়ীর গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার করেন।
প্রশ্ন: বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা কে?
উঃ বড়ু চন্ডিদাস।
প্রশ্ন: আদি যুগে লোকজীবনের কথা বিধৃত সর্বপ্রথম সাহিত্যক নিদর্শন কোনটি?
উঃ ডাক খনার বচন।
প্রশ্ন: মধ্যযুুগের বাংলা সাহিত্যর প্রধান দুটি ধারা কি ?
উঃ ১। কাহিনীমূলক ও ২। গীতিমূলক।
প্রশ্ন: শ্রী চৈতন্যর নামানুসারে মধ্যযুগের বিভাজন কিরূপ?
উঃ চৈতন্য পূর্ববর্তী যুগ (১২০১-১৫০০ খ্রিঃ), চৈতন্য যুগ (১৫০১-১৬০০) ও চৈতন্য পরবর্তী যুগ (১৬০১-১৮০০)
প্রশ্ন: গীত গোবিন্দ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতার নাম কি ?
উঃ জয়দেব।
প্রশ্ন: ব্রজবুলি ভাষার বিখ্যাত সাহিত্যিকের/শ্রেষ্ঠ কবি নাম কি?
উঃ বিদ্যাপতি এবং জয়দেব।
প্রশ্ন: চৈতন্য পরবর্তী যুগ বা মধ্যযুগের শেষ কবি কে?
উঃ ভারতচন্দ্র রায় গুনাকর।
প্রশ্ন: আধুনিক যুগের উদগাতা কে?
উঃ মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
প্রশ্ন: কোন যুগকে অবক্ষয়ের যুগ বলা হয় ?
উঃ ১৭৬০-১৮৬০সাল পর্যন্ত।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যর আধুনিক যুগের সময়কাল কয়পর্বে বিভক্ত ও কি কি?
উঃ চারটি পর্বে বিভক্ত। যেমন- ১. প্রস্তুতি পর্ব (১৮০১-১৮০৫)খ্রিঃ, ২. বিকাশ পর্ব (১৮৫১-১৯০০) খ্রিঃ, ৩.রবীন্দ্র পর্ব (১৯০১-১৯৪০) খ্রিঃ ও ৪.অতি-আধুনিক যুগ (১৯০১ বর্তমান কালসীমা)।
প্রশ্ন: আধুনিক যুগ কোন সময় পর্যন্তু বিস্তৃত?
উঃ ১৮০১ সাল থেকে বর্তমান।
প্রশ্ন: যুগ সন্ধিক্ষনের কবি কে ?
উঃ ঈশ্বরচন্দ্র দত্ত।
প্রশ্ন: ব্রজবুলী ভাষার উদ্ভব কখন হয়?
উঃ কবি বিদ্যাপতি যখন মৈথিল ভাষায় রাধাকৃষ্ণ লীলার গীতসমূহ রচনা করেন।
প্রশ্ন: ব্রজবুলি ভাষা কোন জাতীয় ভাষা?
উঃ মৈথলী এবং বাংলা ভাষার মিশ্রনে যে ভাষার সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন: ব্রজবুলি কোন স্থানের উপভাষা ?
উঃ মিথিলার উপভাষা ।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় রামায়ন কে অনুবাদ করেন?
উঃ কৃত্তিবাস।
প্রশ্ন: রামায়নের আদি রচয়িতা কে?
উঃ কবি বাল্মীকি।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় মহাভারত কে অনুবাদ করেন?
উঃ কাশীরাম দাস।
প্রশ্ন: মহাভারতের আদি রচয়িতা কে?
উঃ বেদব্যাস।
প্রশ্ন: গীতি কাব্যের রচয়িতা কে?
উঃ গোবিন্দ্রচন্দ্র দাস।
প্রশ্ন: পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক কবি কে?
উঃ ফকির গরিবুল্লাহ।
প্রশ্ন: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে?
উঃ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যর প্রাচীনতম শাখা কোনটি?
উঃ কাব্য।
প্রশ্ন: বাংলা গদ্য সাহিত্য কখন শুরু হয়?
উঃ আধুনিক যুগে।
প্রশ্ন: আলাওল কোন যুগের কবি?
উঃ মধ্য যুগের।
প্রশ্ন: মধ্যযুগের অবসান ঘটে কখন?
উঃ ঈশ্বর গুপ্তের মৃত্যুর সঙ্গে।
প্রশ্ন: উনিশ শতকের সবচেয়ে খ্যাতনামা বাউল শিল্পী কে?
উঃ লালন শাহ।
প্রশ্ন: বাংলা গদ্যের জনক কে?
উঃ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
প্রশ্ন: আধুনিক যুগের শ্রেষ্ঠ প্রতিভু কে?
উঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষার আদি কবি ?
উঃ কানা হরিদত্ত।
প্রশ্ন: বাংলা গদ্যর উৎপত্তি কখন?
উঃ আঠার শতকে।
প্রশ্ন: কাঙ্গাল হরিনাথ কখন আবির্ভূত হন?
উঃ উনিশ শতকের শেষার্ধে।
প্রশ্ন: বিষাদসিন্ধু কোন যুগের গ্রন্থ?
উঃ আধুনিক যুগের।
প্রশ্ন: মধ্যযুগের অন্যতম সাহিত্য নিদর্শন কি?
উঃ পদ্মাবতী ও অন্নদামঙ্গল।
প্রশ্ন: চন্ডীদাস কোন যুগের কবি ?
উঃ মধ্যযুগের।
প্রশ্ন: আধুনিক বাংলা গীতি কবিতার সূত্রপাত?
উঃ টপ্পাগান।
প্রশ্ন: টপ্পা গানের জনক কে?
উঃ নিধুবাবু (রামনিধি গুপ্ত)।
প্রশ্ন: মীর মোশাররফ সাহিত্য ক্ষেত্রে আবির্ভূত হন?
উঃ উনিশ শতকের শেষার্ধে।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে মহাকাব্য ধারার অন্যতম মহাকবি?
উঃ মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যে গীতিকাব্য ধারার প্রথম কবি?
উঃ বিহারীলাল চক্রবর্তী।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নির্দশন কি?
উঃ শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন।
প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণ কীর্তনকাব্য কে রচনা করেন?
উঃ বড়– চন্ডীদাস।
প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কোন যুগের নিদর্শন?
উঃ চৈতন্যপূর্ব যুগ।
প্রশ্ন: বড়– চন্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য কে উদ্ধার করেন?
উঃ বসন্তরঞ্জন রায়, ১৯০৯।
প্রশ্ন: উনিশ শতকের নাট্য সাহিত্য ধারার অন্যতম রূপকার?
উঃ মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস কোনটি?
উঃ আলালের ঘরের দুলাল।
প্রশ্ন: ‘আলালের ঘরের দুলাল’ এর রচয়িতা কে?
উঃ প্যারীচাদ মিত্র।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্য কথ্যরীতির প্রবর্তক কে?
উঃ প্রমথ চৌধুরী।
প্রশ্ন: ছোটগল্পের আরম্ভে ও উপসংহারে কোন গুনটি প্রধান?
উঃ নাটকীয়তা ।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় প্রথম সামাজিক নাটক কোনটি ?
উঃ কুলীনকুল সর্বস্ব।
প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম নাটক ও নাট্যকার কে?
উঃ ভদ্রার্জুন- তারাচরণ সিকদার।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যর প্রথম সার্থক নাট্যকার কে?
উঃ মাইকেল মধুসুদন দত্ত।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যর প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক কোনটি ?
উঃ কৃষ্ণকুমারী।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের প্রথম মূদ্রিত গ্রন্থ কোনটি?
উঃ ‘কথোপকথন’।
প্রশ্ন: বাংলা উপন্যাস সাহিত্য ধারার জনক?
উঃ বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
প্রশ্ন: রোমান্টিক প্রনয় উপাখ্যান ধারার অন্যতম কবি?
উঃ শাহ মুহাম্মদ সগীর।
প্রশ্ন: রোমান্টিক প্রণয় উপখ্যান ধারার অন্যতম গ্রন্থ?
উঃ ইউসূফ- জুলেখা।
প্রশ্ন: মঙ্গলকাব্যর ধারার অন্যতম কবি?
উঃ মুকুন্দরাম
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্য ছোটগল্পের প্রকৃত জনক?
উঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
প্রশ্ন: ‘কথোপকথন’ এর রচয়িতা কে?
উঃ উইলিয়াম কেরি।
প্রশ্ন: ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ কোনটি?
উঃ নীল দর্পন।
প্রশ্ন: কোরআন শরীফ প্রথম বাংলায় অনুবাদ কে করেন?
উঃ ভাই গিরিশচন্দ্র সেন।
প্রশ্ন: বাংলা সনেটের জনক কে?
উঃ মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
প্রশ্ন: সনেটের জনক কে?
উঃ ইটালীর পেত্রাক।
প্রশ্ন: ‘গাজিকালু ও চম্পাবতী’ কোন ধরনের সাহিত্য?
উঃ পুঁথি সাহিত্য।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের লোক সাহিত্যের বিখ্যাত গবেষক কে?
উঃ আশরাফ সিদ্দিকী।
প্রশ্ন: রূপকথা কে সংগ্রহ করেছিলেন?
উঃ দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
প্রশ্ন: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রধানত কয়টি যুগে ভাগ করা?
উঃ তিনটি। (প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ ও অধুনিক যুগ)
প্রশ্ন: ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে প্রাচীন যুগের পরিধি কত পর্যন্ত বিস্তৃৃত ছিল?
উঃ ৬৫০-১২০০ সাল পর্যন্তু।
প্রশ্ন: মধ্য যুগের বাংলা ভাষার পরিধি কত সাল পর্যন্ত বিস্তৃৃত ছিল?
উঃ ১২০১-১৮০০ সাল পর্যন্তু।

বসন্তে ত্বকের যত্ন




ফাল্গুন চলে এল বলে। বাইরে ঘোরাঘুরির কত পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অথচ কী একটা ব্রণ উঠে আছে কপালে। ত্বক দেখাচ্ছে রুক্ষ। এভাবে কি বাইরে যাওয়া যায়? শীতের শেষে ফাল্গুন আসার আগেই এ ধরনের সমস্যায় পড়েন অনেকে। ঋতুবদলের এই সময়ে ধুলাবালু একটু বেশিই ওড়ে বাতাসে। ধুলাবালুতে ত্বক আক্রান্ত হয়ে সমস্যাগুলো দেখা দেয়৷ জানালেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান রাশেদ মোহাম্মদ খান।
এখন ত্বকের কী ধরনের ক্ষতি হতে পারে, সেটাও বললেন রাশেদ মোহাম্মদ খান। ‘ত্বক পুড়ে যাওয়া, ত্বকে লাল লাল ছোপ পড়া, ব্রণ, একজিমা, চুলকানি, রুক্ষ ত্বক এই সময়ে বেশি দেখা যায়৷ আগে থেকে সতর্ক থাকলে এই ধরনের সমস্যাগুলো হয় না। ধুলাবালু এড়াতে বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করা ভালো৷ আর এ সময়ে ভালো ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক নরম থাকবে, রুক্ষও হবে না। সেই সঙ্গে ভিটামিন এ, সি ও ই সমৃদ্ধ অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট জাতীয় ওষুধ সেবন করতে হবে।’ বললেন এই বিশেষজ্ঞ।
ত্বক পুড়ে গেলে, একজিমা কিংবা চুলকানি বেশি হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। যেহেতু ত্বকের বিষয় তাই হেলাফেলা করা যাবে না৷ এই সময়ে সচেতন থাকলে ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস কাটবে নিশ্চিন্তে।
রেড বিউটি স্যালনের রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন বলেন, ‘এ কটা দিন ভালোভাবে ত্বকের যত্ন নিতে হবে। যেহেতু মুখের ত্বক সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর, তাই আগেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে নিন৷’ আফরোজার পরামর্শ—ত্বকে ব্রণ, কালো ছোপ কিংবা ত্বক পুড়ে গেলে সে ক্ষেত্রে কয়েকটি পর্বে ভিন্ন ও উপযুক্ত ফেসিয়াল–সুবিধা নিতে হবে। আর তা করতে হবে ফাল্গুন আসার আগেই। তা না হলে বিশেষ দিনে সাজতে ত্বকের সমস্যা ঢাকতে অনেক ভারী মেকআপ নিতে হবে। এর ফলে পরবর্তী সময়ে সমস্যাগুলো আরও বেড়ে যাবে।
আফরোজা পারভীন জানালেন ফাল্গুনের পোশাক বেশ বর্ণিল হয়৷ তাই পোশাকের সঙ্গে হালকা সাজ দিলে ভালো দেখাবে৷ ঘোরাফেরা শেষে বাসায় ফিরে অবশ্যই মুখের ত্বক ডিপ ক্লিন করে নিতে হবে। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা অয়েল ফ্রি ময়েশ্চরাইজার এবং যাঁদের ত্বক রুক্ষ, তাঁরা ক্রিমি ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে পারেন।
এ ছাড়া ঘরে তৈরি প্যাক দিয়েও ম্যাসাজ করতে পারেন। ত্বকের ধরন বুঝে আফরোজা বলে দিলেন কিছু প্যাকের প্রণালি।
শুষ্ক ত্বক
অ্যাভোকাডোর সঙ্গে দুধ ও মধুর মিশ্রণ শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো।
তৈলাক্ত ত্বক
যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা মুলতানি মাটির সঙ্গে কমলার রস মিশিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে শসার রস মিশিয়ে নিলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়।
স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বকের জন্য বেসন, দুধ ও মধুর মিশ্রণ খুব উপকারী।


রেসিপি: শামি কাবাব

 
উপকরন:
১ পাউণ্ড (আধা কেজি) গরুর কিমা
১/২ কাপ বুটের ডাল (চানা ডাল)
১ টি মাঝারি পেঁয়াজ, পাতলা করে কাটা
১ চা চামচ রসুন বাটা
১ চা চামচ আদা বাটা
৮-১০ টি গোল মরিচ
১ ১/২ চা চামচ গরম মশলা
২-৩ টি শুকনো মরিচ

লবণ, স্বাদ অনুযায়ী
২ টি কাঁচা মরিচ, কাটা (ইচ্ছা)
১ ১/২ কাপ পানি (আনুমানিক)
১ চা চামচলেবুর রস
২ টি ডিম
১ কাপ তেল, ভাজার জন্য


প্রণালী:

১. বুটের ডাল প্রায় ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
২. পেঁয়াজ বেরেস্তা করে রাখুন।
৩. গরুর কিমা ও বুটের ডাল ধুয়ে সমস্ত পানি ঝরিয়ে নিন।
৪. আদা, রসুন, গোল মরিচ, গরম মশলা, শুকনা মরিচ এবং লবন যোগ করুন।
৫. কিমা, বুটের ডােল পানি দিয়ে মাঝারি তােপ রান্না করুন। মাংস ও ডাল শুকিয়ে গেলে এমনভাবে পানি দিন যেন পানি শুকালে ডাল ও কিমা সেদ্ধ হয়ে যায়।
৬. একটি ফুড প্রসেসের রান্না করা কিমা এবং ডাল পেস্ট করুন।
৭. একটি বাটিতে কাবাব পেস্ট, বেরেস্তা এবং তেল ছাড়া অন্যান্য সব উপাদানগুলো ভালোভাবে মেশান।
৮. ছোট, গোলাকার আকৃতির কাবাব তৈরি করুন।
৯. মাঝারি তােপ একটি প্যােন তেল গরম করুন।
১০. একটি পৃথক বাটিতে ডিম ফেটান।
১১. প্রতিটি কাবাব ডিমে ডুবিয়ে গরম তেলে ভেজে নিন।

রেসিফিঃতেহেরি

 
উপকরন :
১ চা চামচ জিরা
১ চা চামচ ধনে
২-৩টি দারুচিনি, প্রতিটি ২ ইঞ্চি
৩-৪টি ছোট এলাচ
৫-৬টি গোলমরিচ
১/২ চা চামচ জায়ফল
১/২ চা চামচ জয়ত্রি

৩/৪ কাপ সরিষার তেল
১ কাপ পেঁয়াজ, স্লাইস
২ পাউণ্ড গরুর মাংস, ছোট টুকরা করে কাটা
২ চা চামচ আদা বাটা


২ চা চামচ রসুন বাটা
১/২ কাপ দই
২টি তেজ পাতা

৬ কাপ পানি
১ কাপ দুধ
৩ কাপ বাসমতি বা কালিজিরা চাল
৮-১০টি কাঁচা মরিচ
লবণ, স্বাদ অনুযায়ি

প্রস্তত প্রণালী:
১. জিরা, ধনে, দারুচিনি, এলাচ, গোলমরিচ, ও জায়ফল, জয়ত্রি গুড়া করে নিন।
২. মাংস ধুয়ে সমস্ত পানি ফেলে দিন।
৩. যে পাত্রে তেহারি রান্না করা হবে সেই হাড়িতে মাঝারি তাপে তেল গরম করুন। পেঁয়াজ দিন।
৪. পেঁয়াজ সুগন্ধি এবং সুবর্ণ বাদামী না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন।
৫. মাংস, আদা এবং রসুন বাটা, দই, ১- চা চামচ লবণ, তেজ পাতা এবং গুড়া মসলা তেলে দিয়ে রান্না করুন।

৬. গরুর মাংস নরম না হওয়া পর্যন্ত প্রায় ২৫-৩০ মিনিটের জন্য মাঝারি তাপে রান্না করুন।
৭. একটু একটু করে এক কাপ পানি দিন এবং মাঝে মাঝে মাংস নেড়ে দিন।
৮. মশলা ও ঝোল হাড়িতে রেখে মাংস তুলে রাখুন।
৯. হাড়িতে অবশিষ্ট পানি এবং দুধ দিয়ে ফুটান। লবণ যোগ করুন।
১০. ধোয়া চাল পানিতে দিয়ে ঢেকে দিন। পানি আবার ফুটে উঠলে কাঁচা মরিচ দিয়ে মাঝারি তাপে রান্না করুন।
১১. চাল প্রায় অর্ধেক সিদ্ধ হলে, তুলে রাখা মাংস যোগ করুন। খুব সাবধানে মেশান যেন চাল ভেঙ্গে না যায়।
১২. ১৫-২০ মিনিটের জন্য ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন এবং চাল সিদ্ধ হলে চুলা বন্ধ করুন।
১৩. সালাদ,
  কাবাব ও চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন।

যদি সফল হতে চান



সফল হতে চাইলেই তো আর সফল হওয়া যায় না। তবে সফল হতে গেলে যেটা সবার আগে প্রয়োজন, তা হল মানসিকভাবে শক্ত হওয়া। কিন্তু অনেকেই মনের জোড় না বাড়িয়ে নিজের ভাগ্যকেই দোষারোপ করতে থাকেন। পরিস্থিতি যে সব সময় অনুকূল হবে তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূলেও যেতে পারে, এটা অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার। সেই কথা মাথায় রেখেই যে কোনও নতুন কাজ করা উচিত। তবে মানসিক ভাবে শক্ত হওয়ার জন্য নিজের মনকেই সবার আগে স্থির করতে হবে। কীভাবে নিজের মনের জোড় বাড়িয়ে সফল হওয়া যায় জেনে নিন।

লক্ষ্যে স্থির হওয়া
 

আপনার পাশে যদি কেউ না দাঁড়ায় তাহলে ভয় পাবেন না। নিজেই নিজের সব থেকে বড় লাঠি হয়ে দাঁড়ান। যদি কেউ আপনার সঙ্গে চলতে না চায় তাহলে একলাই চলুন। সাফল্য পাওয়ার পর কারোর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে না।

পরিবর্তনকে ভয় না পাওয়া
আপনার রোজকার জীবনে যদি কোনও পরিবর্তন ঘটে তাহলে ভয় পাবেন না। জানবেন সব পরিবর্তন আপনার প্রতি এক একটা চ্যালেঞ্জ। তাই ভয় না পেয়ে পরিবর্তনকে আপন করে নিন।

নিজের প্রতি দুঃখিত না হওয়া

নিজের প্রতি কখনওই দুঃখিত বোধ করবেন না। নিজেকে আহারে বলার কোনও দরকার নেই এতে আপনার সময়ই নষ্ট হবে। আখেরে আপনার কোনও লাভ হবে না। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ান। কাজে দেবে।

তাদের না পারা কাজ না করা
ধরুন এমন কাজ যা আপনার ঠিক পছন্দ নয়। তাই আপনি ঠিক পারবেন না। এমনকি আপনার মনে কাজের প্রতি অতটা কনফিডেন্ট নেই। তখন সেই কাজ না করাই ভালো। যে কাজ আপনি মন থেকে ভালবাসেন সেই কাজ করুন।

অন্যের কথার গুরুত্ব না দেওয়া

কে কি বলল তাতে আপনার কি! কারোর কথায় গুরুত্ব দেওয়া ছেড়ে দিন। নিজের জীবন কীভাবে কাটাবেন, কী কাজ করে ভালো থাকবেন তা একান্ত আপনার সিদ্ধান্ত। আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব অন্য কারোর হাতে কখনওই দেবেন না।

ভাগ্যকে দোষারোপ না করা
কি হয়নি তা নিয়ে বেশি ভাবনা চিন্তা করার দরকার নেই। কি হতে পারে সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুন। তাতে আপনার সময়ও বাঁচবে এবং নিজের মনোবলও বাড়বে।

একই ভুল বার বার না করা
একই ভুল বার বার করার কোনও মানেই হয়না। বার বার একই ভুল করতে থাকলে আস্তে আস্তে নিজের মনোবল ভেঙে যাবে। তাই একই ভুল বারবার না করে ধীরে সুস্থে কাজ করুন।

অন্যের খুশিতে খুশি না হওয়া
অন্যের খুশিতে খুশি হওয়ার চেষ্টা করুন। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন। দেখবেন আপনার সাফল্যতে এবং খারাপ সময় অনেকের সঙ্গ পাবেন। তবে যদি অন্যের খুশিতে খুশি না হন তাহলে আপনি ভেঙে পড়বেন।

প্রথমবার সফল হতে না পেরে ভেঙে পড়া

যদি প্রথময়ার সফল হতে না পারেন, তাহলে আবার চেষ্টা করুন। দেখুন চেষ্টা না করলে কেউই কখনও সফল হতে পারে না। তাই প্রথমবার যদি কোনও ভাবে সফল হতে না পারেন তাহলে ভেঙে না পড়ে শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ান।

একাকিত্বকে ভয় না পাওয়া
আপনার সঙ্গে কেউ না থাকলেও একাকীত্বকে ভয় পাবেন না। যদি খারাপ সময় কেউ আপনার পাশে দাঁড়াতে না চায় তাহলে ক্ষতি কি। একাই পরিস্থিতির মোকাবিলা করুন। দেখবেন এতে আপনার মন যেভাবে শক্ত হবে তা কখনওই ভাঙা যাবে না।

ধীর স্থিরভাবে কাজ করা

যখন পরিস্থিতি আপনার অনুকূল না হবে, তখন ধীর স্থিরভাবে কাজ করুন। তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে কিছুই হবে না। অনেক ভুল হয়ে যাবে। তাই পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূল হলে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করুন।

কাজের পর নিজেকে জাহির না করা
আপনি আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন। যাতে কেউ না আপনাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারে। সফল হওয়ার পর নিজেকে জাহির করবেন না। কারণ নিজের ঢাক নিজে না পেটানোই ভালো। এতটা আপনার নিজের পক্ষেও খুব একটা ভালো হবে না।

সূত্র: জিনিউজ

যে ধরনের মানুষ বেশি বুদ্ধিমান



ঘরদোর নোংরা করে রাখেন? অগোছালো ঘরে এলোমেলো পড়ে থাকে আপনার জিনিসপত্র? কেউ গোছাতে গেলে উল্টে রেগে যান? এজন্য হজম করতে হয় মায়ের বকুনি? একই কারণে বউ খিটখিট করেন বা বান্ধবী বিরক্তি প্রকাশ করেন? করতে দিন, আর আপনি থাকুন আপনার মতো। কেন? বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই অগোছালো মানুষই অন্যদের তুলনায় বেশি বুদ্ধিমান। একইসঙ্গে তারা সৃজনশীলও। বিজ্ঞানীদের দাবি, অগোছালো মানুষরা উদ্ভাবনী চিন্তায় বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারেন। তাদের মস্তিষ্ক ভালো কাজ করে। বুদ্ধি খেলে। ফলে কাজের ডেস্ক বা ঘর নোংরা হয়ে থাকলেও চিন্তা করার দরকার নেই। মানুষের আচরণ নিয়ে বিজ্ঞানের নিত্যনতুন গবেষণা বিষয়ক লেখক এরিক বার্কার টাইম ম্যাগাজিনে এক নিবন্ধে জানান, কেউ যদি ভেতর থেকেই অসংগঠিত হন, মানে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই সবকিছু এলোমেলো করে রাখেন, এসব নিয়ে মাথা না ঘামান, দেখা গেছে তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে বেশি। মনের দিক থেকেও তারা সৃজনশীল। অলস মানুষের সঙ্গে তুলনা করে নিবন্ধে বলা হয়, যারা অলস তারা কাজের সময় সহজ পথটা খুঁজে নিতে পারেন। তাদের লাইফস্টাইলেই অগোছালো, এলোমেলো ব্যাপারটা রয়ে গেছে; তাই তারা চারপাশের হই-হট্টগোল, অশান্তির মধ্যে থেকেও মাথা খাটাতে পারেন। তারা নিজের কাজটা ঠিকঠাক করে বেরিয়ে যেতে পারেন। তাদের চিন্তায় এর কোনো প্রভাবই পড়ে না। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

যে ভাষা গুলো হারিয়ে গেছে



প্রোটো ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা বা পাই

ইংরেজি, রাশান, ফ্রেঞ্চ, বাংলাসহ এশিয়া ও ইউরোপ, এমনকি পৃথিবীর বেশিরভাগ ভাষাতেই নিজের খানিকটা করে অংশ রেখে গিয়েছে এই প্রোটো ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষা বা পাই। তবে 
বাস্তবিকভাবে এটি কেমন ছিল তা জানা যায়নি কখনও। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মাত্র তিনটি ধ্বনি পাওয়া গেছে পাইয়ের। তবে এখন অব্দি সে তিনটি ধ্বনিকে উচ্চারণ কী করে করতে হয় সেটা বুঝতে পারেনি কেউ। বিশেষজ্ঞদের মতে এটা এতই বেশি পুরোন ভাষা যে এর কোন লিপি বা কোনোকিছু এখন আর অবশিষ্ট নেই। তবে বর্তমানে পৃথিবীতে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে পাইয়েরই উত্তরসূরিরা।

হাট্টিক

ইন্দো-ইউরোপিয়ান হিট্টি ভাষা নয়, এ ভাষাটির নাম হাট্টিক। মূলত, এর কোনো নামই আজ অব্দি আবিষ্কার করতে পারেনি কেউ। হাট্টিয়ানদের এ ভাষাকে তাই হাট্টিক বলেই সম্বোধন করা হয়। হাট্টিক ভাষাকে একসময়ের আনাতোলিয়ার অধিবাসী, অর্থাৎ বর্তমান টার্কির ভাষা বলেই মনে করা হয়। ইন্দো-ইউরোপিয়ানদের হাতে আনাতোলিয়া পরাজিত ও দখলের শিকার হলেই ধীরে ধীরে এই ভাষাটি হারিয়ে যেতে থাকে। বর্তমানে অনেকেই একে জর্জিয়ান, আবখাজ বা ইউবিখ ভাষার সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করেন। তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি। বরং প্রাচীন এ ভাষাটির চিত্রলিপি বেশ ধাঁধায় ফেলে দিয়েছে মানুষকে।

আইবেরিয়ান

বর্তমান স্পেন ও পর্তুগালের অংশ, তৎকালীন আইবেরিয়ান পেনিনসুলায় বসবাসকৃত মানুষের মৌখিক ও লিখিত ভাষাকেই আইবেরিয়ান ভাষা নামটি দেওয়া হয়েছে। যদিও এ ভাষারও নামটা ঠিকঠাক জানে না কেউ। অনেক সময়েই অনেক ভাষার সঙ্গে জুড়ে দিতে চাওয়া হয়েছে একে। তবে শেষমেশ মানতে বাধ্য হয়েছেন বিশেষজ্ঞরা যে এটি আসলেই মৃতভাষা। বিশেষ করে রোমান শাসকরা আইবেরিয়ান পেনিনসুলা জয় করে নিলে ভাষাটি পুরোপুরি বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে স্পেনে এ ভাষার কিছু অক্ষরের দেখা পাওয়া যায়।

এট্রুস্কান

সর্বশেষ এট্রুস্কান ভাষার সপ্রতিভ কথক ছিলেন সিজার ক্লডিয়াস। তিনি সম্পূর্ণ নিজের আগ্রহ থেকেই লিখে ফেলেন হিস্টোরি অব দ্য এট্রুস্কান। তবে বর্তমানে সেই বইটিও নেই, নেই এট্রুস্কান ভাষাও। মৃতদের খাতায় নিজের নাম লিখিয়ে নেওয়া এট্রুস্কান ভাষা বর্তমানে না থাকলেও এ ভাষাভাষীদের দেওয়া নাম এখনও গায়ে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু শহর। পুরো ইতালিকে কয়েকশ বছর ধরে শাসন করেছিল এট্রুস্কান আর তাদের ভাষা। সেই শাসনামলেই রোম নামটি দেয় তারা বর্তমান রোমকে।

বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য যেসব বই ফলো করা উচিত



বিসিএস প্রিলির জন্য যে সব বই ফলো করা উচিত বলে আমার মনে হয়:

সকল বিষয়ের জন্য:


১. ১০ম থেকে সর্বশেষ বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন সংকলন বইটি দেখা ( সল্যুউশন ব্যাখ্যা সহ)
২. বিসিএস ডাইজেস্ট … বিসিএস বিষয়গুলো সংক্ষেপে খুব ভালো সংকলন এমন বই।
৩. কারেন্ট এফেয়ার্স [মাসিক এবং বার্ষিক কপি ও বিসিএস স্পেশাল গুলো]
৪. সংখ্যাতত্ত্ব
৫. বাংলাদেশের সংবিধান
৬. বিসিএস ম্যাপ( বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক)
৭. বাংলা পিডিয়া ’র পুরো খন্ডটা থাকাই ভালো
৮. নন ক্যাডার এর দুটো সিরিজের বই
৯. অর্থনৈতিক সমীক্ষা
 

বাংলা:
১) সৌমিত্র শেখরের বাংলা বিষয়ক বইটা/ সাহিত্য 
জিজ্ঞাসা
২. হুমায়ূন আজাদের লাল নীল দীপাবলি [বাংলা ভাষার ইতিহাসের জন্য]
৩. মাধ্যমিক বাংলা গদ্য ও পদ্য [লেখক,কবি ও প্রবন্ধকদের জীবনী, উল্লেখযোগ্য বই]
৪. মাধ্যমিক বাংলা ব্যাকরণ
৫. বাংলা কোষ ( জুয়েল কিবরিয়া)

ইংরেজি:
১. ENGLISH FOR COMPETITIVE EXAM
২. অক্সফোর্ড এডভান্সড লার্নার ইংলিশ গ্রামার বই
৩. যেকোনও ভালো মানের ইংরেজী ব্যাকরণ বই( জাকির হোসেনের বইটা ভালো , পিসি দাশ এর টাও ভালো)
৪. প্রফেসরস / ওরাকল ইংরেজী বিসিএস প্রিলিমিনারীর বই
5. COMMON MISTAKE >> FITICATES
৬). Rohel’s VOCABULARY/ WORD TREASURE
7. যেকচ ANALOGY বই
8. SYNONYM ANTONYM বিষয়ক যে কোন বই

গণিত:
১. প্রফেসর’ স এর গনিত স্পেশাল/ওরাকল বিসিএস ম্যাথ প্রিলি [বইটা খুবই ভালো … ডিটেইল সূত্র দিয়ে ক্যালকুলেশন]
২. মানসিক দক্ষতা ও গানিতিক যুক্তি বিষয়ক বই
৩. মাধ্যমিক বীজগণিত
৪. মাধ্যমিক জ্যামিতি [পরিমিতি, ত্রিকোণমিতি ১২.৩]
৫. নিম্ন মাধ্যমিক গণিত [৮ম শ্রেণী পাটিগণিত]

বিজ্ঞান:
১. MP3 সিরিজের বিসিএস বিজ্ঞান সমগ্র [খুব ভালো একটা বই]
২. নিম্ন মাধ্যমিক বিজ্ঞান [৮ম শ্রেণী]
৩. মাধ্যমিক সাধারণ বিজ্ঞান [ ৯ম শ্রেণীর]
৪. পদার্থ বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী]
৫. রসায়ন বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী]
৬. জীব বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী]

বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী:

১. মাধ্যমিক ইতিহাস [৯ম শ্রেণী]
২. মাধ্যমিক ভূগোল [৯ম শ্রেণী]
৩. মাধ্যমিক সামাজিক বিজ্ঞান [৯ম শ্রেণী]
৪. আব্দুল হাই এর বাংলাদেশ বিষয়াবলী
৫. সাধারণ জ্ঞানের যেকোনো ভাল বই(যেমন>প্রফেসর’স/ ওরাকল/ MP3 সিরিজের সাধারণ জ্ঞানের বই)
৬. বাংলাদেশ এবং পৃথিবীর মানচিত্র ও মানচিত্র বিশিষ্ট বই।

Popular Posts

Adsence Advertise