Adsence Advertise

Pages

Advertise

Copyright @ 2016 tarekurrahman. Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

পেঁয়াজের ঝাঁঝ এড়িয়ে যেভাবে পেঁয়াজ কাটবেন




পেঁয়াজের রয়েছে বিশেষ উপযোগিতা। রান্না করার সময় বিশ্বের প্রায় সকল দেশের মানুষই পেঁয়াজ ব্যবহার করে থাকে। মুখরোচক রসনা পণ্য ছাড়াও পেঁয়াজের রয়েছে বিভিন্ন ঔষধি গুণও। তবে এ মশলাটির একটি বিশেষঅসুবিধা রয়েছে। যারা নিয়মিত পেঁয়াজ কাটেন তারা এই বিশেষ অসুবিধা সর্ম্পকে জানেন। হ্যাঁ, পেঁয়াজ কাটার সেই সমস্যাটি হচ্ছে, চোখ জ্বালা পোড়া করে ও চোখে পানি আসে। পেঁয়াজ কাটলে কেন এমন হয়- সেটা সবার কাছে কৌতুহলের বিষয়। জেনে নিন, পেঁয়াজ কাটলে কেন এমন হয়। মূলত পেঁয়াজ কাটার সময় এক বিশেষ ধরণের অ্যাসিডের কারণে এমনটি হয়। পেঁয়াজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যামিনো অ্যাসিড। এই অ্যাসিডে সাধারণত চোখ জ্বালা করার কথা নয়। তবে পেঁয়াজ কাটার সময় এই অ্যামিনো অ্যাসিডের সালফোক্সাইড উপাদানটি বিক্রিয়া করে সালফোনিক অ্যাসিডে পরিবর্তিত হয়। যেটি চোখে জ্বালা পোড়ার কাজে সহায়ক। পেঁয়াজের মধ্যে আরো এক ধরণের পদার্থ থাকে যা এই সালফোনিক অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে প্রোপেন থায়োল এস অক্সাইড তৈরি করে। অ্যাসিডটি আবার দ্রুত উড়ে গিয়ে চোখের পানির সাথে মিশে সালফিউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। এই সালফিউরিক অ্যাসিডই চোখ জ্বালা পোড়া করা এবং চোখে পানি আনার মতো কাজ করে থাকে। পেঁয়াজ কাটার সময় যখন চোখে সালফিউরিক অ্যাসিড এসে পড়ে তখন সেটি ধুঁয়ে ফেলার জন্যই অতিরিক্ত পানি নিঃসৃত হয়। এর মাধ্যম চোখে পানি আসে। পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালা-পোড়া করার এই অসুবিধা থেকে মুক্ত থাকা কষ্টকর। তবে কয়েকটি ব্যবস্থার মাধ্যমে এই অসুবিধা থেকে কিছুটা হলেও আরাম পাওয়া যায়। কাটার আগে পেঁয়াজ অনেকক্ষণ ফ্রিজে রাখলে চোখে জ্বালা পোড়া হয় না। কারণ কম তাপমাত্রার কারণে উল্লেখিত উপাদানগুলোর কার্যকারিতা কমে যায় এবং প্রোপেন থায়োল এস অক্সাইড তৈরি হয় না। আরেকটি পদ্ধতি হিসাবে বলা যায়, পেঁয়াজ অর্ধেক করে কেটে গরম পানি কিছুক্ষণ রেখে তারপর কাটলে চোখের জ্বালা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কারণ পেয়াঁজ সালফিউরিক অ্যাসিড তৈরি হলেও পানিতে দ্রবণীয় হয়ে যায়। ফলে তা চোখে আসার আর সুযোগ থাকে না এবং উচ্চ তাপমাত্রার কারণে অধিকাংশ অ্যামিনো অ্যাসিডের সালফোক্সাইড ও এনজাইম পেয়াঁজ থেকে নিঃসৃত হয়ে পানিতে দ্রবীভূত হয়ে যায়। ফলে প্রোপেন থায়োল এস অক্সাইড চোখে আসার কোনো সুযোগ থাকে না।

দুশ্চিন্তা দূর করার সহজ উপায়




সত্য মনোবিজ্ঞানের ভাষায় সত্য চিন্তার বিপরীত হচ্ছে দুশ্চিন্তা। সত্য চিন্তা মানুষের প্রকৃতিজাত। সত্য চিন্তায় থাকে সত্য বিশ্বাস। সত্য বিশ্বাস মানে ধর্মীয় বিশ্বাস। প্রত্যেক মানুষ কোনো না কোনো ধর্মে বিশ্বাসী। তবে ইসলামই হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত জীবন বিধান। মানুষ যখন নিজের ইচ্ছাকে কেন্দ্র করে তার কর্মপরিচালনা করতে চায়, তখন তার মনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এই দ্বান্দ্বিক মনোভাব তাকে নানা ধরনের বুদ্ধির কূটকৌশলে আটকে রেখে নানা জটিলতার সৃষ্টি করে। এ ধরনের মন সব সময় অসুস্থ থাকে। আরো স্পষ্টভাবে বলা যায়, মানুষ যখন তার মনের আনুগত্য করে তখন সেখানে সত্যের আনুগত্য বিলুপ্ত হয়ে যায়। কামনা-বাসনাকে যারা ইলাহ্ (উপাস্য) বানিয়ে নেয়, তারা মনের আনুগত্যের কারণে দিশেহারা হয়ে যায়। তাদের মনের মধ্যে বিরাজ করে দুশ্চিন্তা। সত্য চিন্তা, ইতিবাচক চিন্তা তাদের মন থেকে দূরীভূত হয়ে যায়। তাই দুশ্চিন্তার বড় ওষুধ বিশ্বাসের আনুগত্য। বিশ্বাসের ভিত্তিতেই তার মনে সত্য চিন্তার বিকাশ হবে। সত্য চিন্তার বিকাশ হলে তার মন সুন্দর এবং পবিত্র হয়ে যাবে। যেমন পার্থিব জীবন ও তার চাকচিক্য থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে মহান আল্লাহর আনুগত্যে নিবেদিত হবে সে মন শক্তিশালী হবে। এমন কোনো সহজাত বস্তুকে ভয় করে না। দুনিয়াবি কোনো শক্তির ভয়ে সে ভীত হবে না। সর্বক্ষণ, সর্বকাজে এ মনের ভরসা হবে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা। বলুন তো, এ ধরনের মনে কখনো কি দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধতে পারে?
 যখন আমাদের মনে কোনো দুশ্চিন্তার ছায়া আমরা দেখতে পাবো, তৎক্ষণাৎ আমাদের আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে। বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে, কোথাও আমাদের বিশ্বাসে কিংবা ভরসায় অন্য কোনো শক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে কি না। সাপ, বিচ্ছু, সিংহ, বাঘ বা অন্য কোনো শক্তির ভয়ে আমরা ভীত কি না। কিংবা কোনো লোভলালসার প্রলোভন মনকে বিপথগামী করছে কি না। মন যখন ইচ্ছার আনুগত্য করে, অর্থের আনুগত্য করে, সামাজিক শক্তির আনুগত্য করে, নাম-খ্যাতির আনুগত্য করে, তখন বুঝতে হবে মন তার মনের আনুগত্যে ব্যস্ত রয়েছে।

 সত্য মনোবিজ্ঞানের বিশ্লেষণে এ ধরনের মন সব সময় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকে। তাই মনকে তার মনের আনুগত্য ত্যাগ করে মহান আল্লাহর আনুগত্যে ফিরিয়ে আনতে পারলেই দুশ্চিন্তা কেটে যাবে। মনের প্রশান্তি ফিরে আসবে। মনকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার প্রধান উপায় হচ্ছে, মহান আল্লাহকে একমাত্র অভিভাবক হিসেবে আনুগত্য করা। যে মন আল্লাহর বিধানের অনুসারী হবে, সে মন সব সময় প্রফুল্ল থাকবে। মহানবী সা:-এর অনুসারী মন-ই সত্যিকার ভালো মন। মনে রাখতে হবে, যে মন তার মনের আনুগত্য করবে সে মনে সব সময় ভয়, অস্থিরতা, আতঙ্ক, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় নিমজ্জিত থাকবে। এ ধরনের মন শয়তানের অনুসারী মন। প্রচলিত মনোবিজ্ঞানে দুশ্চিন্তামুক্ত মনের জন্য অনেক কথা বলা হয়েছে। কাউন্সেলিং এবং পদ্ধতিগত বেশ কিছু উপায়-উপকরণের নির্দেশনাও রয়েছে এসব ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে। মনোবিশ্লেষণ, মনোকথন, মেডিটেশন, ডায়ানেটিকস, মনোথেরাপি, মিউজিক থেরাপি প্রভৃতি অনেক পদ্ধতি রয়েছে দুশ্চিন্তা লাঘবে উপায় হিসেবে। এ ধরনের বিভিন্ন ব্যবস্থাপনায় মানসিক দুশ্চিন্তা লাঘবের যেসব পদ্ধতি রয়েছে, তা দ্বারা মনের সাময়িক উন্নয়ন প্রশান্তি লাভ সম্ভব হলেও সত্যিকার সাফল্যের হার খুবই কম। তাই সত্য মনোবিজ্ঞান (True Psychology) সত্যিকার মনোপ্রশান্তির জন্য ধর্মীয় বিশ্বাস প্রতিস্থাপনে বিশ্বাসী। বহু রোগীর জীবনবৃত্তান্ত বিশ্লেষণ করে আমরাও বলতে চাই, দুশ্চিন্তা লাঘবের প্রধান এবং একমাত্র উপায় হচ্ছে ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুশীলন। ইসলামের মহান বিধানে দুশ্চিন্তার কোনো অস্তিত্ব নেই। কারণ, ইসলামে আনুগত্যশীল ব্যক্তির প্রধান ভরসা এবং অভিভাবক হচ্ছে- স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা। সুতরাং মনোভাব শুধু আল্লাহর অনুগত রাখতে পারলে সে মনে কখনো কোনোভাবেই দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধতে পারবে না। তাই আবারো বলছি, আল্লাহর আনুগত্যশীল মন কখনো কোনোভাবেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারে না।
-ইসলামিক সাইকোথেরাপি ফিচার

সিভি তৈরিতে যে ভুল গুলো করা যাবে না

চাকরির জন্য বায়োডাটা একটি অত্যাবশ্যক বিষয় বায়োডাটা দেখেই নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান আপনার সম্পর্কে নিয়ে নিতে পারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত তাই আপনার বায়োডাটাটি তৈরি করতে হবে উপযুক্তভাবে বায়োডাটা তৈরির সময় এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাবেন :


  • খুব ঝকমকে বা রঙচঙে কাগজে সিভি লিখবেন না অনেকেই আছেন যারা ভাবেন সিভিটা ঝকমকে বা রঙচঙে কাগজে লিখে দিলে কাজ হবে কিন্তু এমন মনে করার কোনও কারণ নেই সিভি সবসময় সাদা কাগজের ওপর প্রিন্ট করাই উচিত আপনার সিভি ফরম্যাল, অফিসিয়াল ডকুমেন্টেড হওয়া উচিত 
  • ফন্ট যেন খুব চেনা হয় যে ফন্টে সিভিটা লিখবেন সেটা যেন সহজ, সরল, চেনা হয় কায়দা মাড়া ফন্টে লিখে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হয় 
  • হেডিংয়ে সিভি, বায়োডাটা, Resume এই ধরনের কথা লিখতে যাবেন না অনেকেই আছেন যারা সিভির ওপর হেডিংয়ে CV, Curriculum Vitae and Resume জাতীয় কথা লেখেন, সেটার দরকার নেই 
  • ছবি না চাইলে দরকার নেই ছবি না চাইলে আগ বাড়িয়ে দিতে যাবেন না মডেলিং, অভিনয় ছাড়া সব জায়গায় ছবির প্রয়োজন হয় না 
  • নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে গুণগান করতে শুরু করবেন না আমি খুব ডেটিকেটিভ মানুষ খুব পরিশ্রম করতে পারি দারুণ সত্মানুষ এমন সব কথার কোনও প্রয়োজন নেই এতে পাল্টা প্রশ্ন করলে আপনার চাপ বাড়তে পারে সিভিতে নিজের পরিচয়টা স্মার্টভাবে দিন,ঢাকঢোল পিটিয়ে নিজের গুণগান গিয়ে নয়
  • 'আমি', 'আমার' জাতীয় শব্দ এড়িয়ে চলুন আমি অমুক কোম্পানিতে টিম লিডার ছিলাম, আমার অমুক ছিল আমি, আমার শব্দ সিভিতে ত্যাগ করুন বদলে বুলেট ব্যবহার করে পয়েন্ট অনুযায়ী সাজান
  • বানান ভুল বা ব্যাকরণগত ত্রুটি একদম যেন না থাকে সিভিতে বানান ভুল বা বাক্য তৈরিতে ব্যাকরণগত ত্রুটি করে ফেলবেন না একটা ছোট্ট ভুলের জন্য আপনার চাকরিটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে 
  • চাকরি ছাড়ার কারণ, বর্তমান চাকরির যাবতীয় তথ্য ঠিক কী কারণের জন্য আগের চাকরিটা ছেড়ে এই চাকরিটা করতে চাইছেন সেটা দিন বর্তমানে যে চাকরিটা করছেন তার যাবতীয় তথ্য দিন আপনার 'জব রোল' ঠিক কী সেটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন
  • অপ্রয়োজনীয় তথ্য দেবেন না অপ্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সিভি বড় বা ভারী বানাবেন না মনে রাখবেন সময় সবার কাছেই বড় মূল্যবান সিভিতে নিজেকে সংক্ষেপে, স্মার্টলি তুলে ধরাই আপনার লক্ষ্য হবে 
  • মিথ্যা তথ্য বা তথ্য গোপন করবেন না সিভিতে মিথ্যা কথা একদম বলতে যাবেন না পরে ধরা পড়ে গিয়ে চাকরি খোয়াতে পারেন 

Popular Posts

Adsence Advertise