Adsence Advertise

Pages

Advertise

Copyright @ 2016 tarekurrahman. Theme images by MichaelJay. Powered by Blogger.

লেবুর উপকারী দিক

 




লেবু ভিটামিন ‘সি’-তে ভরপুর। লেবুর পুষ্টিমান অনেকেরই জানা। তবে লেবু সব গুণের কথা কজন জানে? লেবু চিপে কত-কী যে করা যায়! আর বিভিন্ন কাজে লেবুর ঘষা যে কত উপকারী, তা জেনে নিন এবার।

১. লেবু দাগ ওঠাতে ওস্তাদ। চায়ের দাগ বা কঠিন কোনো দাগ ওঠানোর কাজে লেবু ব্যবহার করা যায়। কাপড়ে দাগ লাগলে লেবু অর্ধেক কেটে দাগের ওপর রস দিয়ে ভিজিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরে স্বাভাবিকভাবে ধুয়ে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে।

২. লেবু প্রাকৃতিক উপায়ে সংক্রামক প্রতিরোধক। ফল বা সবজি খাওয়ার আগে এক টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে কচলে তা ধুয়ে নিতে পারেন। এতে ফল বা সবজির ওপর যদি কোনো কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, তা দূর হবে।

৩. কাটিং বোর্ড পরিষ্কারের জন্য লেবুর রস ব্যবহার করুন। জীবাণু বা অন্যান্য ময়লা পরিষ্কার করতে কাটিং বোর্ডে অর্ধেক লেবু রগড়িয়ে নিতে পারেন। এতে বোর্ড ঝকঝকে দেখাবে।

৪. ফ্রিজে যাঁরা লেটুসপাতা অনেক দিন ধরে রাখেন, তাঁদের কাজে লাগতে পারে লেবু। নেতিয়ে পড়া লেটুসপাতা ব্যবহারের আগে লেবু-টেস্ট করাতে পারেন। এক বাটি ঠান্ডা পানির মধ্যে অর্ধেক লেবু চিপে এক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে পারেন। এরপর বের করে পাতা একটু শুকিয়ে নিন।

৫. ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে লেবু। কয়েক টুকরা কাটা লেবু সব সময় ফ্রিজে রাখতে পারেন। এতে ফ্রিজে গন্ধ হবে না।

৬. বাড়িতে বা ঘরে যদি পোকামাকড়ের উপদ্রব হয়, তবে দেয়াল বা আসবাবের ফাটল, জানালার গরাদ, দরজার কাছাকাছি কিংবা গর্তের সামনে লেবু কেটে ফেলে রাখুন। এতে মাছি, তেলাপোকা ও পিঁপড়ার উপদ্রব কমবে।

৭. অ্যাজমা প্রতিরোধে লেবু উপকারী। প্রতিদিন খাবারের আগে দুই চামচ করে লেবুর রস খেলে অ্যাজমার উপসর্গ দূর হয়।

৮. যাঁরা পিতল বা তামার তৈজসপত্র ব্যবহার করেন, তাঁরা সেসব চকচকে রাখতে লেবুর রস লবণ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। লেবু-লবণের মিশ্রণ ভালো করে বাসনকোসনে ঘষে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে চকচকে হবে।

৯. সাদা সবজি রান্নার সময়ও সাদা দেখাতে আঁচ দেওয়ার আগে এক চামচ সতেজ লেবুর রস যুক্ত করতে পারেন।

১০. প্রেশার কুকার বা চায়ের কেটলিতে জমে ওঠা খনিজ তলানি দূর করতে লেবুর খোসা বেশ কাজে লাগে। সে ক্ষেত্রে লেবুর খোসার পাতলা টুকরো কুকার বা কেটলিতে ভরে পানি দিয়ে সেদ্ধ করুন। এরপর পানি দিয়ে কচলে ধুয়ে ফেললে তা চকচক করবে। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ওজন কমাতে কলা

 






ওজন কমাতে চান? আপনার খাবারের তালিকায় অবশ্যই কলা যুক্ত করুন। অনেকে ভাবেন, কলা খেলে ওজন বাড়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা উপায়ে কলা ওজন কমাতে সাহায্য করে। উপাদেয়, সস্তা, সারা বছর মেলে—এমন সবজি বা ফলের মধ্যে কলায় রয়েছে প্রচুর পটাশিয়াম। কলা শরীর ফুলে-ফেঁপে ওঠা ঠেকাতে পারে। তাই যাঁরা পেটের চর্বি কমাতে চান, তাঁরা খাদ্যতালিকায় কলা রাখতে পারেন।

কলায় কোলিনসহ সব ধরনের ভিটামিন বি আছে। এতে শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। বিশেষ করে, পেটের মেদ কমাতে নিয়মিত কলা খেতে পারেন। যাঁরা জাঙ্ক ফুডে অভ্যস্ত, তাঁরা এই অভ্যাস ছাড়তে কলা খেতে পারেন। যখন এ ধরনের খাবার খেতে ইচ্ছা হবে, তখন কলা খেলে খিদে মিটবে, আর পুষ্টিও মিলবে। কলা পাকস্থলীতে দরকারি ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সাহায্য করে, যাতে খুব সহজে খাবার হজম হয়। খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়ায় ওজন বাড়ে। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।

বাদামের নানা গুণ

 

প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হতো নানা প্রাকৃতিক উপাদান৷ এর মধ্যে অন্যতম ছিল বাদাম৷ আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা জানান, ত্বক সতেজ রাখতে তখন নানা ধরনের বাদাম বেটে তার প্রলেপ দেওয়া হতো শরীরে৷ চুলের যত্নে ব্যবহার করা হতো বাদামের তেল৷ সব মিলিয়ে বাদাম খাওয়া বেশ জরুরি। কারণ, ভেতর থেকে ত্বক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে বাদামের গুণাগুণ অপরিহার্য৷ ল্যাবএইড কার্ডিয়াক হাসপাতালের পুষ্টিবিদ সালমা পারভীন জানালেন বাদামের তেমনই কিছু গুণের কথা৷

কাঠবাদাম
কাঠবাদাম শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়৷ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে৷ কাঠবাদাম ওজন কমানোর পাশাপাশি কমায় হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি৷ তবে এক দিনে চার বা পাঁচটার বেশি কাঠবাদাম না খাওয়াই ভালো৷

কাজুবাদাম
ত্বক টান টান রাখার পাশাপাশি বয়স বাড়ার গতি রোধ করে কাজুবাদাম৷ এই বাদাম নিয়মিত খেলে পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমে৷ তাই প্রতিদিন সকাল বা বিকেলে খেতে পারেন চারটা করে কাজুবাদাম৷

পেস্তাবাদাম
দৃষ্টি ও হজমশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি পেস্তাবাদাম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে৷ এখন বাজারে অনেক ধরনের মসলা ও লবণযুক্ত প্যাকেটজাত পেস্তাবাদাম পাওয়া যায়৷ এগুলো না খেয়ে সরাসরি পেস্তাবাদাম খেলেই বেশি উপকার পাওয়া যাবে৷ কাজুবাদামের মতো পেস্তাবাদামও দিনে চারটার বেশি না খাওয়াই ভালো৷

চিনাবাদাম
চিনাবাদামেও আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়৷ নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে লিভার ভালো থাকে৷ এ ছাড়া এই বাদাম রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে৷ নিয়মিত দিনে ১০ থেকে ১২টি চিনাবাদাম খেতে পারেন৷

আখরোট
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার৷ আখরোট হাড় শক্ত করে৷ তাই দিনের খাবারের তালিকায় দুটি করে আখরোট রাখতেই পারেন৷

মনে রাখবেন
যেকোনো বাদামই পরিমাণের বেশি না খাওয়া ভালো৷ কারণ, বাদামে আছে প্রচুর ক্যালরি৷ তাই বেশি বাদাম খেলে ওজন বেড়ে হিতে বিপরীত হতে পারে৷

খাওয়ার পর একটু হাঁটার সুফল

 




খাওয়ার পর একটু হাঁটা ভালো, এ কথা সবাই জানেন। এ বিষয়ই এবার নিশ্চিত করলেন নিউজিল্যান্ডের গবেষকেরা। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, যাঁরা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরা খাওয়ার পর অবশ্যই একটু হাঁটবেন। এতে রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে সুফল বয়ে আনে। তাঁরা বলেন, দিনের যেকোনো সময় ৩০ মিনিট হাঁটার চেয়ে রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে খাওয়ার পর একটু হাঁটা ভালো।
‘ডায়াবেটোলোজিয়া’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।
 
গবেষণা প্রবন্ধের লেখক অ্যান্ড্রু রেনল্ড বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, খাওয়ার পর হাঁটলে রক্তে চিনির স্তর গড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত কম দেখায়। রাতের খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটিতে সবচেয়ে ভালো সুফল পাওয়া যায়। রাতের খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটিতে রক্তে চিনির পরিমাণ ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে দেখা গেছে। তথ্যসূত্র: টিএনএন।

Popular Posts

Adsence Advertise